করোনায় চাপা পড়ছে ডেঙ্গু

জিএস নিউজজিএস নিউজ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:১৩ পিএম, ০৬ মে ২০২০

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে মশক নিধনে তোড়জোড় চোখে পড়লেও এ কার্যক্রম অনেকটাই ঝিমিয়ে চলছে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাগজে কলমে সিটি করপোরেশন হলেও বাস্তবে তা অকার্যকর। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এসব এলাকায় করোনার মধ্যেই আঘাত হানতে পারে ডেঙ্গু, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। যদিও নতুন ওয়ার্ডের মশক নিধনে বাড়তি নজরদারির কথা বলছে সিটি করপোরেশন।

গত মার্চ থেকে সিটি করপোরেশন, সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ সবাই ব্যস্ত কোভিড-১৯ বা করোনা মোকাবিলায়। ঋতুচক্র অনুযায়ী হচ্ছে বৃষ্টি। আর এ বর্ষাতে বাড়ছে এডিসের ঝুঁকি।

২০১৮ সালের শেষ দিকে ঢাকার ১৬টি ইউনিয়নকে সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর নতুন এ ওয়ার্ডগুলোতে গত বছর পর্যন্ত নানা জটিলতায় সিটি করপোরেশনের কোনো ধরনের সেবা পৌঁছেনি। চলতি বছরে মশক নিধনে জনবল থাকলেও ওষুধ ছিটাতে দেখা যায় না মশক কর্মীদের, অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নামে শুধু সিটি করপোরেশন, তারা কিছুই করে না। করোনার থেকে ভয়াবহ হবে এবার ডেঙ্গু।

জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, মশক নিধনের ব্যবস্থা থাকলেও রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা।

ডিএসসিসি কাউন্সিলর আতিকুর রহমান আতিক বলেন, এখন বর্ষার মৌসুম, তারপরও আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে সবকিছু পূরণ করতে পারছি না।

ডিএনসিসি কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ বলেন, সামনে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এর জন্য যেসব স্বেচ্ছাসেবক আছে তারা প্রত্যেকটি বাড়িতে গিয়ে সবাইকে সচেতন করে আসছে।

তবে মশক নিয়ে কাজ করেন এমন গবেষকরা এখনই ব্যবস্থা না নিলে করোনার সাথে বাড়তি বিড়ম্বনা যুক্ত করবে ডেঙ্গু। আর এক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বর্ধিত এসব এলাকায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, এডিস মশার জরিপে এবার দেখা যায়, চলতি বছর এডিস মশার ঘনত্ব গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

জনবলের ঘাটতি নেই দাবি করে, ডেঙ্গু মোকাবেলায় বাড়তি নজরদারির কথা জানায় সিটি করপোরেশন।

ডিএনসিসি প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে তিন জন করে জনবল আছে। এছাড়াও এবার প্রত্যেক ওয়ার্ডে অতিরিক্ত ১০ জন করে জনবল দেয়া হয়েছে।

ঢাকা সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম। কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ে যারা কাজ করে তারা বলছে, জ্বর নিয়ে যারা হাসপাতালে যান তাদের শুধু করোনার পরীক্ষা করা হয় কিন্তু বাদ পড়ে যায় ডেঙ্গু। ফলে করোনায় চাপা পড়ে যাচ্ছে ডেঙ্গু।

 

জিএসনিউজ/এমএইচএম/এএএন

আপনার মতামত লিখুন :