দাগনভূঞায় চাঁদা না দেওয়ায় রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলা, ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

ফেনীর দাগনভুুঞায় দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় ‘ফুড ক্লাব রেস্টুরেন্টে’ হামলা -ভা’ঙ’চুর করেছে যুবদল নেতা মানিক ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ী দিদার হোসেন।
ব্যবসায়ী দিদার বলেন, ঈদের তিনদিন আগে দাগনভূঞা যুবদল নেতা ও চিহ্নিত ভূমিদস্যু মানিক আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায়, ১১ এপ্রিল বিকাল ৩টার দিকে মানিকের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফুড ক্লাব রেস্টুরেন্ট-এ হামলা- ভাংচুর চালায়। হোটেল স্টাফদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়, ক্যাশ কাউন্টার ভেঙে তিন লক্ষাধিক টাকা লুট করে নেয়। পরবর্তীতে কেউ হোটেলের তালা খুললে তাকে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা।
আমি সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানাই। তারা মামলা করার পরামর্শ দিলেও থানা চত্বরে মানিক গং-এর হুমকির কারণে আমরা মামলা করতে পারিনি। তারা যুবদল ও বিএনপি’র প্রভাব খাটিয়ে থানা ঘেরাও করে রাখে। পরবর্তীতে আমরা ফেনী জজ কোর্টে মামলা করি, যা আদালতে বিচারাধীন।
তিনি আরও বলেন, ৯ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে যুবদল নেতা ভূমিদস্যু মানিক ও তার ভাতিজা রিয়াদ জোরপূর্বক আমাদের পারিবারিক জমির উপর রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করে। আমার বড় ভাই রাজু ও ফুফু প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়, এবং আমার ফুফু আহত হন। তাকে দাগনভূঞা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। ফুফু বিষয়টি থানা, সেনাবাহিনী ও বিএনপি-যুবদলের সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছেন।
১১ এপ্রিল জুমার নামাজের পর মসজিদে সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলাকালে যুবদল নেতা ভূমিদস্যু মানিক ও রিয়াদ আবার বাধা দেয় এবং আমার ভাই রাজুকে আঘাত করে। এরপর মানিক ৪০-৫০ জনকে নিয়ে লাঠি, রড ও বাঁশসহ আমাদের উপর হামলা চালায়।
এই ঘটনার পর আমি ও আমার পরিবার গভীর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বর্তমানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং আমার পরিবার আতঙ্কে আছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফুড ক্লাব রেস্টুরেন্ট খুলে দেয়ার ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।