প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিল চেয়ে রিট
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থী মো. তারেক রহমানের পক্ষে গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি করেন।
অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন জানান, গত ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর জানা গেছে, ৩৫ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক, শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪-এর (পিইডিপি) আওতায় নেওয়া হবে। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপ্রথা বাতিল করা হয়। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদটি ১৩তম গ্রেডের আওতাভুক্ত। তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা আর পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে। এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র এবং সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
অ্যাডভোকেট একলাছ বলেন, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হলেও অন্য কোনো অনগ্রসর ব্যক্তি কিংবা প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। কোটা বণ্টনের ফলে দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের চাকরিপ্রত্যাশী ছেলেদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ হবে। এটি তাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। তিনি জানান, রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। কার্যতালিকায় এলে আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একটি বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হবে।