৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেলেন শমী কায়সার
দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার। নাটক-বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি তাকে দেখা গেছে চলচ্চিত্রেও। তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন নিপুণ অভিনয়ে, মোহনীয় হাসিতে।
গত কয়েক বছর ধরে অনিয়মিত শমী। ব্যবসা আর রাজনীতিতে হয়েছেন সরব। তবে সম্প্রতি নতুন করে শোবিজে মনোযোগ দিয়েছেন তিনি।
এবার জানা গেল, চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। গতকাল মঙ্গলবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রদেয় অনুদানের বিষয়ে শেষ সভায় যোগ হয়েছে নতুন একটি নাম।
মঙ্গলবার কমিটির সব সদস্য যোগ দিয়ে চলচ্চিত্র অনুদান তালিকা চূড়ান্ত করেন। সেখানে আগের আটটি চলচ্চিত্রের সঙ্গে যোগ হলো অভিনেত্রী-ব্যবসায়ী শমী কায়সার প্রস্তাবিত ‘স্বপ্ন মৃত্যু ভালোবাসা’ ছবিটি।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল তথ্যসচিব আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, মতিন রহমান, নাট্যকার মামুনুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিভাগের অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশীদ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান উল আলম অনুদান বিষয়ে শেষ সভায় বসেন। তাদের সর্বসম্মতিতে মোট নয়টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনুদান পাওয়া পূর্ণদৈর্ঘ্য নয়টি চলচ্চিত্র হলো সাধারণ শাখায় মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’, খান শারফুদ্দীন মোহাম্মদ আকরামের ‘বিধবাদের কথা’, কাজী মাসুদের ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, লাকী ইনামের ‘১৯৭১ সেই সব দিন’, সারাহ বেগম কবরীর ‘এই তুমি সেই তুমি’ ও শমী কায়সারের ‘স্বপ্ন মৃত্যু ভালোবাসা’; প্রামাণ্যচিত্র শাখায় হুমায়রা বিলকিসের ‘বিলকিস এবং বিলকিস’, পূরবী মতিনের ‘মেলাঘর’ এবং শিশুতোষ শাখায় আবু রায়হান মো. জুয়েলের ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’।
এর মধ্যে সাধারণ শাখায় শমী কায়সারের ‘স্বপ্ন মৃত্যু ভালোবাসা’, মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’, খান শারফুদ্দীন মোহাম্মদ আকরামের ‘বিধবাদের কথা’ এবং শিশুতোষ শাখায় আবু রায়হান মো. জুয়েলের ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’ ছবির জন্য প্রত্যেক প্রযোজক পাবেন ৬০ লাখ টাকা করে।
কাজী মাসুদের ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, লাকী ইনামের ‘১৯৭১ সেই সব দিন’, সারাহ বেগম কবরীর ‘এই তুমি সেই তুমি’ পাবে ৫০ লাখ টাকা করে। প্রামাণ্যচিত্র শাখার দুটি চলচ্চিত্র বানাতে প্রত্যেক প্রযোজক পাবেন ৩০ লাখ টাকা করে।
এ অর্থবছর অনুদান পাওয়া পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হলো জান্নাতুল ফেরদৌস আইভির ‘খিজিরপুরের মেসি’, জাহিদ সুলতানের ‘মিঠুর একাত্তর যাত্রা’, মো. নাজমুল হাসানের ‘রুপালি কথা’, ফারাশাত রিজওয়ানের ‘শেকল ভাঙার গান’ ও উজ্জ্বল কুমার মণ্ডলের ‘ময়না’। এ চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণের জন্য প্রত্যেক প্রযোজক ১০ লাখ টাকা করে পাবেন।