যারা এখনো স্মার্ট কার্ড পাননি জেনে নিন কোথায় কিভাবে পাবেন স্মার্ট কার্ড

জিএস নিউজ ডেস্কজিএস নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৪:৫০ পিএম, ০৯ জুন ২০২০

রাজধানী ঢাকাসহ অনেক বিভাগীয় শহর উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু অনেক আগে। কোথাও শেষ হয়েছে গত বছর অক্টোবর এ কাজ শুরু হলেও বিভিন্ন কারণ স্মার্ট কার্ড তুলনায় যারা, তাদের এখন বিশেষ ব্যবস্থা এটি নিতে হবে।

ইসি (নির্বাচন কমিশন) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিভাগ (এনআইডি উইং) কর্মকর্তারা জানান, ভোটারদের একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনী থানা রয়েছে। ডিভিশন সময় শেষ হলেও যারা স্মার্ট কার্ড তুলতে না তারা মূল আইডি কার্ডের একটি ফটোকপি নিয়ে নির্বাচনী থানার অফিসারদের কাছে যেতে হবে।

ওই কর্মকর্তার স্বাক্ষরটি নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজধানী আগারগাঁওতে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দশ আঙ্গুলের ছাপ এবং আইরিশের প্রতিচ্ছবি দেবার পরে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ফটোকপি করা আইডিটি লিখুন, দশটি আঙুলের ছাপ এবং আইরিশ প্রতিচ্ছবিবিহীন অবস্থায় আছে।

এরপর ও কাগজটি আবার ফিরে যাবে তাদের নিজস্ব নির্বাচনী থানার অফিসে। সেখানে ফটোকপি এবং আগের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন স্মার্ট কার্ড তুলুন

আর ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাইরে অন্য সিটি ভোটাররা থানা নির্বাচনী অফিসে গেলেই জানতে পারবেন কোথায় আঙুলের ছাপ এবং আইরিশের প্রতিফলন দিতে হবে।

এ বিষয়ে এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো। সাইদুল ইসলাম জানান, স্মার্ট কার্ড বিভাজন সময় ঘোষণা করা হয়। কেউ এ সময়টি তুলা না পারলে বিশেষ ব্যবস্থাটি গ্রহণ করা যাবে। সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি দিন বাদে এভাবে সারা বছর স্মার্ট কার্ড টাও তো। তবে দ্রুত বর্জন নালীতে ভালো হয়। সবাইকে স্মার্ট কার্ড দিতে আরও দুই বছর

জানা গেছে, ৯ কোটি ভোটারের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র এক কোটির বেশি নাগরিক স্মার্ট কার্ড পাওয়া গেছে। এই বছরের ডিসেম্বরে সবাইকে স্মার্টকার্ড ঘোষণা করা হবে কিন্তু এটি সম্ভব নয়। এমনকি এটি সবার কাছে পৌঁছানোর জন্য আরো দুই বছর সময় লাগবে বলে সংলাপরা।

দরকারি সরঞ্জামের অভাব থমকে আছে এ প্রকল্প বিদেশী ঠিকাদারদের সঙ্গে বিনিময় না হওয়ায় এখন তাদের স্মার্ট কার্ড তৈরি এবং বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ইসি এনআইডি উইং। এজন্য কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো। হায়দার আলী জাগো নিউজকে বলেন, সবাইকে কার্ড দেবার জন্য এটি অন্তত দুই বছর সময় লাগবে। আঙুলের ছাপ এবং আইরিশের প্রতিফলন নেয়ার জন্য যে ১০০ জোড়া যন্ত্র দিয়ে কাজ শুরু হয়, এর ৩৭ জোরে এখন অচল।

দেশে স্মার্ট কার্ড তৈরির উদ্যোগ চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করার জন্য স্মার্ট কার্ড সরবরাহকারী ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান ওবার্থার টেকনোলজিসের (ওটি) সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে তাদের স্মার্ট কার্ড নির্মাণ উদ্যোগ গৃহীত ইসি।

ইসি সচিবালয় ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জাগো খবর জানায়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কার্ড সরবরাহ করতে পারবেন ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে দেশিয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় স্মার্ট কার্ড তৈরি কমিশন তাদের জন্য চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য করা হয়েছে ইসি ফলে স্মার্ট কার্ড বিতরণে দেরি হলেও টাকা সাশ্রয় হবে।

ফ্যান্সের প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ৮১৬ কোটি টাকার চুক্তি করে ইসি। চুক্তি অনুসারে ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নয় কোটি স্মার্ট কার্ড পৌঁছানোর কথা।

কিন্তু করুণ প্রতিষ্ঠানটি এজন্য চুক্তি মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০১৭ এর ৩০ জুন পর্যন্ত হয়। জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা পর্যায়ে কেবল এক কোটি ৯৮ লাখ (১২ দশমিক ২0 শতাংশ) কার্ড পৌঁছানো সম্ভব।

এখনও দুই কোটি ৩৬ লাখ চার হাজার পিস ব্ল্যাক (ফাঁকা) কার্ড আসেন। ইতোপূর্বে ৫১ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিল হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কম ৩০ মিলিয়ন ডলার তাদের অর্থ আছে এজন্য ইসি চুক্তি বাতিল করা বাধ্য করা হয়েছে

এখন বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির মাধ্যমে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ছাপানো হবে। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একাধিক নমুনা কার্ড ইসি সরবরাহ করেছে।

জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই

আপনার মতামত লিখুন :