জিএস টেক’র অফিসিয়াল ট্যুর-২০১৮ সম্পন্ন

জিএস নিউজ ডেস্কজিএস নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:৩৬ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৮

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ>>>
রূপের রাণী পার্বত্য খাগড়াছড়িতে বার্ষিক অফিসিয়াল ট্যুর সম্পন্ন করল গ্রেট এন্ড স্মার্ট টেকনোলজি লিঃ। জিএস টেক তাদের ৪র্থ তম বার্ষিক ট্যুর ৭ এপ্রিল শনিবার সম্পন্ন করল খাগড়াছড়ি জেলার আলুটিলা গুহা ও ঝর্ণা, রিছাং ঝর্না, দেবতা পুকুর, মহালছড়ি হ্রদ, বিডিআর স্মৃতিসৌধ, রামগড় লেক ও চা বাগান পরিদর্শনের মাধ্যমে।

 

ট্যুরে জিএস টেক’র কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করে যার মধ্যে ছিলেন– জিএস টেক’র চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মেহরাব হোসেন মেহেদী, চিফ অপরেটিং অফিসার মোঃ ইউনুস, কনসালটেন্ট মোঃ সোহেল রানা, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রোগ্রামার মোশারফ হোসেন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চিফ ওয়েব ডেভেলপার ইয়াকুব হোসাইন, এক্সিকিউটিভ মোশারফ হোসেন, প্রজেক্ট ম্যানেজার মিশু মজুমদার, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের এক্সিকিউটিভ সোহেল হোসেন, মিজান উদ্দিন, ল্যাব ইন্সট্রাক্টর আবদুল্ল্যাহ নোমান, অফিস এক্সিকিউটিভ নুরুল আবসার ও আবদুল্ল্যাহ হাসান।

 

খাগড়াছড়ি জেলার সবচাইতে বড় নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক ঝর্নাটি হল রিছাং ঝর্না। শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয় এর ভিন্ন প্রকৃতি একে দিয়েছে আলাদা পরিচিত।

 

সমুদ্র সমতল হতে ৩০০০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট আলুটিলা বা আরবারী পাহাড়ে আলুটিলা গুহা অবস্থিত। স্থানীয়রা একে বলে মাতাই হাকড় বা দেবতার গুহা। এটি খাগড়াছড়ির একটি নামকরা পর্যটন কেন্দ্র। এই গুহাটি খুবই অন্ধকার ও শীতল। কোন প্রকার সূর্যের আলো প্রবেশ করে না বলে মশাল নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়েছে। সুড়ঙ্গের তলদেশ পিচ্ছিল এবং পাথুরে ও এর তলদেশে একটি ঝর্ণা প্রবাহমান। গুহাটি দেখতে অনেকটা ভূ-গর্ভস্থ টানেলের মত যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ ফুট। গুহাটির এপাশ দিয়ে ঢুকে ওপাশ দিয়ে বের হতে আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগেছে। গুহাটির উচ্চতা মাঝে মাঝে খুব কম হওয়ায় নতজানু হয়ে হেটে যেতে হয়েছে।

 

পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত নয়নাভিরাম খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্ক। দু’টি পাহাড়কে একটি ঝুলন্ত ব্রিজের মাধ্যমে সংযুক্ত করে। পার্কটির পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে হ্রদ। সেখানে নৌ ভ্রমণের ব্যবস্থাও রয়েছে। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত মনোরম।

সিইও মেহরাব হোসেন মেহেদী ভ্রমণ সম্পর্কে বলেন, মনোমুগ্ধকর, ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ এই নিদর্শনগুলো আমাদের চিন্তার দিগন্তকে প্রসারিত করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। ভ্রমণের ক্লান্তি সত্ত্বেও আমাদের ঝুলিতে এখন অনেক নিদর্শনের গল্প জমা হয়েছে।

 

ট্যুরে সবচেয়ে মজার বিষয় হল গাড়িতে মিশু মজুমদার, সোহেল হোসেন আধুনিক গান ও পাঁচ মিশালী গান গেয়ে সকলকে আনন্দ দেয়।

আপনার মতামত লিখুন :