বিভিন্ন দেশে লকডাউন শিথিল, ফের সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা

অনলাইন ডেস্কঅনলাইন ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:২৩ এএম, ১২ মে ২০২০

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন শিথিল হওয়ায় আবারও সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যেই সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলেও ধাপে ধাপে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়া কড়াকড়ি শিথিল করতে শুরু করেছে বলকান রাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়াসহ প্রতিবেশী আরও কয়েকটি দেশ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ ওঠানামা করছে। আবারো কোথাও কোথাও বাড়ছে নতুন শনাক্ত।

এ অবস্থায় ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন শিথিলের প্রক্রিয়া নিয়ে তাড়াহুড়ো না করে ধীরগতিতে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সোমবার জেনেভায় নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, বিভিন্ন দেশ লকডাউন শিথিল করায় সামনে ভাইরাসটির সংক্রমণের হার আরও বাড়তে পারে।

এদিকে রাশিয়ায় করোনা সংক্রমণ যখন বেড়েই চলেছে, ঠিক তখন দেশটিতে ধাপে ধাপে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবার টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার থেকেই ধাপে ধাপে লকডাউন শিথিল শুরু হলেও মূলত তা নির্ভর করবে আঞ্চলিক গভর্নরদের সিদ্ধান্তের ওপর।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে লকডাউন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও করোনার বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। কয়েকটি অঞ্চল এ মুহূর্তে তুলনামূলক নিরাপদ হলেও এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয়। আর তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি আমি।

লকডাউন কিছুটা শিথিল হয়েছে প্রতিবেশী বলকান রাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়া ও বসনিয়াতেও। ক্রোয়েশিয়ায় চলতে শুরু করেছে গণপরিবহনও। খুলে দেয়া হয়েছে রাজধানী জাগরেব-এর বিমানবন্দরও।

এখানকার বাসিন্দারা বলেন, আমরা সবাই সতর্কতা মেনে চলছি। গ্লাভস না পরলেও বারবার স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করছি আমরা।

বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে স্যানিটাইজার রাখা আছে। যেহেতু এখানে অনেক মানুষ যাতায়াত করছে তাই নিজেদের সুরক্ষিত রাখা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

এছাড়া লকডাউন শিথিল করায় ইউরোপের আরেক দেশ চেক প্রজাতন্ত্রেও খুলে দেয়া হয়েছে বার, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন দোকাট পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তুরস্কেও শিথিল করা হয়েছে কড়াকড়ি ও নিষেধাজ্ঞা।

 

জিএসনিউজ/এমএইচএম/এএএন

আপনার মতামত লিখুন :