দল চাইলে পদত্যাগ করবোঃ মির্জা ফখরুল

MD Aminul IslamMD Aminul Islam
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:৪৬ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালনের পর পূর্ণাঙ্গ মহাসচিবের দায়িত্ব পান।  রাজনীতিতে ভদ্র আর সজ্জন হিসেবে পরিচিত তিনি। তবে মহাসচিব হিসেবে কতটা সফল সে প্রশ্ন এখন আরোচনা  হচ্ছে দলের ভেতরে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিলাতে। এই অবস্থায় গত একবছর ধরে অনেকটাই লাইম লাইটে ছিলেন মির্জা ফখরুল। রাজনীতির কৌশলে তিনি কতটা মুন্সিয়ানা দেখান সেদিকেও দৃষ্টি ছিল অনেকের।

তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ‘অচিন্তনীয় বিপর্যয়ের’ পর বিএনপিতে পুনর্গঠনের দাবি উঠেছে জোরেশোরে। মহাসচিবের সমালোচনায়ও মুখর হচ্ছেন অনেকে। বিশেষ করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারায় তার সমালোচনা হচ্ছে। এ অবস্থায় কী ভাবছেন মির্জা ফখরুল।

সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে মানবজমিন প্রতিনিধি মনির হায়দারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন নানা ইস্যুতে। দলের পুনর্গঠন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, পুনর্গঠনের বিষয়টাতো কালেক্টিভ সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আমি একা তো কোনো সিদ্ধান্ত দিয়ে দিতে পারি না। আমার দলের স্ট্যান্ডিং কমিটি আছে, কার্যনির্বাহী পরিষদ আছে। চেয়ারপারসন আছেন, অ্যাক্টিং চেয়ারপারসন আছেন। সবকিছু মিলিয়েই আমাকে সামনের দিকে এগুতে হবে। ইট’স অ্যা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। পুনর্গঠন বিষয়টা কোনো সুনির্দিষ্ট সময়ে বা সুনির্দিষ্ট তারিখে করতে হবে এমন তো নয়। ইতিমধ্যেই যেমন দু-একটি অঙ্গসংগঠনের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি আমরা মনে করি যে আরো বড় ধরনের পরিবর্তন বা পুনর্গঠন করা দরকার সেটাও করা হবে। বিএনপি গত ৩৫ বছরে প্রমাণ করেছে যে, এটি সত্যিকার অর্থেই একটি উদারপন্থি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এটা বাংলাদেশের জনগণের ধ্যান-ধারণা ও চিন্তা-চেতনার প্রতিনিধিত্ব করে।

মহাসচিব হিসাবে নিজেকে সফল মনে করেন কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কখনোই মনে করি না আমি। আমার মধ্যে অনেক উইকনেস বা অনেক অপূর্ণতা থাকতে পারে। কিন্তু আমি নিজের কাছে সৎ। কাজের প্রতি আমার নিষ্ঠা আছে। আমি চেষ্টা করি আমার সর্বোচ্চটা দিয়েই বিএনপিকে সেবা করতে।

মহাসচিব পদে পরিবর্তনের প্রশ্ন আসলে কি করবেন?

জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি সর্বাত্মকরণে দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেবো। তিনি বলেন, আমি হতাশায় বিশ্বাস করি না। যুদ্ধাবস্থার মধ্যেও আমরা গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের সংগ্রাম করব, আন্দোলন করবো এবং বিজয় ছিনিয়ে আনবো। আমি এটাও বিশ্বাস করি যে, এ ধরনের বাধা তো আসতেই পারে। আমরা যেটা অতীতেও মোকাবিলা করেছি। কখনো বিএনপি মাথা নোয়ায়নি। আজকেও আপনাকে স্থির গলায় বলতে চাই যে, বিএনপি মাথা নোয়াবে না। বিএনপি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে পূরণ করার জন্য জনগণের রাজনীতি নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা মনে করি, জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো। জনগণের পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের ফলাফল আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে বৈরী পরিবেশের মধ্যে আমরা রাজনীতি চর্চা করার চেষ্টা করেছি। বিগত দিনগুলোতে বিএনপির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়ন হয়েছে। তা সত্ত্বেও বিএনপি এখনো শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রধান যে দায়িত্ব, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ভোটের কিছুকাল আগেই সরকার আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পাঁচ হাজারের ওপর গায়েবি মামলা দায়ের করেছিল এবং এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখের ওপরে। এসব গায়েবি মামলায় নির্বাচনের ঠিক আগে আগে শুরু হয় গণগ্রেপ্তার। এই ক্ষেত্রে প্রধানত টার্গেট করা হয় যারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে পারেন এমন লোকজনকে। এরপর নির্বাচনের আগের রাতেই পুলিশকে ব্যবহার করে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়ে সিল মারা হলো। তারপরও জনগণ ভোটের দিন সকাল ৮টার দিকে ঠিকই কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল যে, তারা আবারও কেন্দ্রগুলো দখলে নিয়ে সিল মারা শুরু করে।

আমরা সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়েছি। প্রত্যেক জায়গায় প্রত্যেক রিটার্নিং অফিসারকে জানানো হয়েছিল। আমি নিজেই তো আমার এলাকার রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করেছি যে, জনগণই সব পরিবর্তনের মূল কারিগর। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম যে, জনগণের নীরব ভোট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে একটা পরিবর্তন আসবে। কিন্তু সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাষ্ট্র পুরোটাই ইটসেলফ… আসলে লড়াইটা হয়েছে কোথায়? জনগণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের লড়াই। সেটাই হয়েছে বড় সমস্যা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা গত নির্বাচনে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি যে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তারা জোর করেই ক্ষমতায় থাকতে চায় এবং দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন সম্ভব না বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেই জিনিসটা প্রমাণ হয়েছে।

আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা ধারণা আছে যে, আন্দোলন মানেই হচ্ছে হরতাল দেয়া। আন্দোলন মানেই হচ্ছে ভায়োলেন্সে যাওয়া। আমরা কিন্তু বিগত বছরগুলোতে অত্যন্ত সচেতনভাবে কোনো রকম ভায়োলেন্স যাতে না ঘটে সেজন্য কাজ করছি। এমন কোনো কর্মসূচি দিইনি যেটাতে ভায়োলেন্স হতে পারে। বিভিন্ন কারণেই আমরা এ পথ নিয়েছি। আজকে নির্বাচনের পরে আপনারা দেখেছেন যে আমরা নির্বাচন কমিশনে গেছি, আমাদের বক্তব্য রেখেছি। আমাদের এমপি প্রার্থী যারা ছিলেন তাদের দিয়ে মামলাগুলো করা হয়েছে। আমাদের মানববন্ধন হয়েছে। বিভিন্ন প্রোগ্রাম হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে যে আন্দোলনগুলো হয় আমরা সেগুলো করছি। এটাকে বেগবান করার জন্য আমরা সামনের দিকে আরো কর্মসূচি গ্রহণ করব। আর এমন আন্দোলনে প্রতিটি মুহূর্তেই এর ফল পাওয়া যায়। মানুষ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বলেছি পুনঃনির্বাচন চাই। একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে পুনঃনির্বাচনটা হতে হবে। এটা আমাদের দাবি। ওইটা নিয়েই আমরা কাজ করছি। এখন পর্যন্ত গোটা দেশে জনগণের কাছে যতটা সম্ভব আমরা যাওয়ার চেষ্টা করছি। নির্বাচনের পরপরই ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেক জায়গায় গেছি। নোয়াখালীতে গেছি। লালমনিরহাটে গেছি। নারায়ণগঞ্জে গেছি। যে জায়গাগুলোতে মানুষের ওপর অত্যাচার হয়েছে, মহিলা ও শিশুদের ওপর অত্যাচার হয়েছে সেসব জায়গায় আমরা গেছি।

ঐক্যফ্রন্ট গঠন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগেই আমাদের এ্যানুয়াল জেনারেল মিটিংয়ে নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছিলেন যে, বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সেটা শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেই নয়, জনগণের মধ্যে একটা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তারপরে বাকি যে সমস্ত দল আছে, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাদের নিয়ে আমাদের ২০ দলকে অটুট রেখেই ঐক্যফ্রন্ট করেছি। সেই ফ্রন্টে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছাড়াও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আছেন। একদিকে ২০ দল অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্ট মাঝখানে আমরা সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করেছি। মূল লক্ষ্যটা ছিল একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনা। নির্বাচনটাকে সঠিক করা। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণকে অংশগ্রহণ করিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। এটা নিয়ে জনগণের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা আরো ব্যাপক হয়েছে।

জামায়াত নিয়ে ড. কামালের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি তার বক্তব্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য রাখতে চাই না। ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতের বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য নেই। তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আমাদের যে জোট সেটা কেবল নির্বাচনী জোট বা ইলেকশন অ্যালায়েন্স। এখানে আদর্শের কোনো ব্যাপার নেই বা অন্য কোনো কিছু এখানে আসেনি। নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য প্রত্যেকেই কিছু সুবিধাজনক অবস্থান গ্রহণ করে। যেহেতু জামায়াতে ইসলামের কিছু ভোট আছে সেগুলোকে নিয়ে আসার জন্য আমরা একটা জোট করেছি। নিজ দলে গণতন্ত্র কতটুকু? মির্জা ফখরুলেন, আমাদের দলের মধ্যে যে কাঠামো আছে তাতে গঠনতান্ত্রিকভাবে যথেষ্ট গণতন্ত্রের ব্যবস্থা আছে। আমাদের যা কিছু হয় গণতান্ত্রিকভাবেই হয়। কাউন্সিলে কাউন্সিলররাই মতামত দিয়ে নেতা নির্বাচন করেছেন। আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই স্ট্যান্ডিং কমিটি, কার্যকরী পরিষদ, চেয়ারপারসন বা অ্যাক্টিং চেয়ারপারসন এবং মহাসচিবকে ক্ষমতা দেয়া আছে সেভাবেই কাজ হচ্ছে।

আপনাদের গঠনতন্ত্রে তো একটা নির্ধারিত সময় পর পর দলের কাউন্সিল, বিভিন্ন শাখা কমিটির কাউন্সিল হওয়ার কথা? কিন্তু সেটা সময়মতো হচ্ছে না বলেই তো অভিযোগ আছে। উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা সব দলেরই কিছু কিছু, আমাদের মতো দেশগুলোতে এক বছর দেরি হয় বা এক মাস দেরি হয়। আমাদের ২০০৯ সালে হয়েছিল। তারপর ২০১৬ সালে হয়েছে। আমরা যে অবস্থায় এখানে রাজনীতি করছি, একটা অগণতান্ত্রিক পরিবেশে। সারাক্ষণ নির্যাতন, নিপীড়ন চলছে একটা দলের নেতাকর্মীদের ওপর। এমন একজন নেতা নেই বিএনপিতে যার বিরুদ্ধে ৪০-৫০টা মামলা নেই এবং যাদের বারবার জেলে যেতে হয় না। স্বাভাবিকভাবে রাজনীতি করার পরিবেশটা তো এখানে নেই। গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হচ্ছে আপনাকে একটা ডেমোক্রেটিক স্পেস দেয়া হবে। সেই স্পেস তো এখানে নেই। ফলে এর মধ্য দিয়েই কিন্তু আমরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করছি। সেখানে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। দ্যাট ইজ নট ভাইটাল। আমার কাছে মনে হয় যে বাংলাদেশে একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে, যেহেতু সরকারকে কিছু বলতে পারে না, সে কারণে বিএনপি সম্পর্কেই তাদের যত রকম কথাবার্তা এসে যায়।

আমাদের ২০৩০ সালের ভিশনে খুব পরিষ্কার করে বলে দেয়া আছে যে, বিচার বিভাগের বিচারক নিয়োগের জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকবে। বিচারক নিয়োগের জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন তৈরি করে দেয়া হবে। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালার কথা আমরা সেখানে উল্লেখ করেছি। এই ২০৩০ ভিশনকে নিয়েই আমরা সামনের দিকে এগুতে চাই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সেই সময়টুকুতে যে অত্যাচার নির্যাতন করেছিল বর্তমানে অনেকটা তার সঙ্গে তুলনা করা যায়। কারণ, তখনও কারো নিরাপত্তা ছিল না। কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। কোথাও গিয়ে একটু রিলিফ পাবেন সেই ব্যবস্থা ছিল না। এখনো তো সেই একই অবস্থা বিরাজ করছে।

কোনো কোনো নেতা দল পুনর্গঠন ও নেতৃত্ব পুনর্বিন্যাসের কথা বলেছেন। এমন কিছু কি ঘটতে যাচ্ছে। এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, এটাই তো গণতান্ত্রিক নিয়মের চর্চা। এ ধরনের কথাবার্তা তো আসতেই পারে। গণতন্ত্রে একেকজনের বিভিন্ন মত তো থাকতেই পারে। আমি মনে করি যার যেটা মত তিনি সেটা প্রকাশ করছেন।

উৎসঃ মানব জমিন

আপনার মতামত লিখুন :