পঞ্চগড়ে মিলল সালেকের বিপুল সম্পদের খোঁজ

MD Aminul IslamMD Aminul Islam
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:৫২ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

স্টাফ রির্পোটারঃ>>>

সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ ঘটনার মূল হোতা আবু সালেকের স্থলে প্রায় তিন বছর কারাবন্দি ছিলেন জাহালম।

সোনালী  ব্যাংকের  মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট শাখা থেকে  ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তোলা হয়েছিল এসব অর্থ।

পাঁচ বছর আগে সালেককে তলব করে দুদক চিঠি দিলে সেই চিঠি পৌঁছে নরসিংদীর ঘোড়াশালের বাংলাদেশ জুট মিলের শ্রমিক জাহালমের বাড়ির ঠিকানায়। এরপর জাহালমের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার।

দুদকে নিজের পরিচয় দিয়েও কপাল ফেরেনি জাহালমের।

অথচ এসব টাকা আত্মসাতের মূল আসমি আবু সালেক রয়ে যান পর্দার অন্তরালে।

গণমাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। টনক নড়ে দুদকের। এরপর বিনা দোষে কারাভোগী জাহালম পরিবারের কাছে ফিরে যান।

শুরু হয় আসামী আবু সালেকের খোঁজ।

ইতিমধ্যে আবু সালেকের খোঁজ এখনবধি না পাওয়া গেলেও পাওয়া গেছে তার বিপুল সম্পদের খোঁজ ।

এই ৯ বছরে জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা  সোনালী ব্যাংকের ওই অর্থে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় গড়েছেন  অনেক সম্পত্তি ।

বোদায় স্যামসাং-এর শো-রুম দিয়েও বসেছিলেন সালেক। তবে গত ৮ মাস আগে সেটি বন্ধ করে দেন তিনি।

এরপর বোদা পৌরসভার প্রামাণিকপাড়ায় প্রায় ২০ শতক জমির ওপর একটি একতলা বিশাল বাড়ি তৈরি করেন সালেক।

সালেকের স্বজনদের বক্তব্য, এক বছর ধরে সালেক বাড়িতে যাচ্ছেন না। তার সঙ্গে যোগাযোগও নেই তাদের।

হঠাৎ করে আবু সালেক সম্পত্তির মালিক হলেন কী করে সেই প্রশ্নে খাদেমুল ইসলাম জানান, তারা জানতেন ঢাকায় সালেকের শেয়ার ব্যবসা, দুধের ব্যবসা এবং গার্মেন্টের যন্ত্রাংশ সাপ্লাইয়ের ব্যবসা আছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :