কে এ ইউনুস ? তার খুঁটির জোর কোথায় ?

সেনবাগে দুই সাংবাদিককে হত্যার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টারস্টাফ রিপোর্টার
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:০৯ এএম, ০৩ মে ২০২০

প্রাণঘাতী করোনা মহামারির হানায় পুরো পৃথিবী নিরব-নিস্তব্ধ। নিহত এবং আক্রান্তের মিছিলে দিশেহারা মানুষ। কে মরবে ,কে বাচঁবে কেউই বুঝার ক্ষমতা নেই। কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না মহামারি নামের ঘাতক করোনাকে। অদৃশ্য করোনা পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলোতে হানা দিয়ে মার্চের প্রথম সাপ্তাহে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। সরকারের তৎপরতায় বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় রবিবার (৮ মার্চ)। ক্রমানয়ে বাড়তে তাকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এক পর্যায়ে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এরপর করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে বৃহঃবার (২৬মার্চ) থেকে সাধারণ ছুটি শুরু হয়ে এখনো চলমান রয়েছে।

সরকারের অঘোষিত এই “লকডাউন” এ সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সারা দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বেসামরিক প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও।

সরকারের অঘোষিত এই “লকডাউন” সুন্দর ভাবে পরিচালনার অংশ হিসেবে শুক্রবার ( ১০ এপ্রিল) নোয়াখালী জেলা প্রশাসক এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুরো জেলাকে “লকডাউন” ঘোষণা করেন ।

ঠিক সেই দিনেই শুক্রবার ( ১০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম থেকে একটি ট্রাক কয়লা নিয়ে ইউনুস পাটোয়ারীর বাচ্চুর “বাবা ব্রিকফিল্ড” এ যাওয়ার পথে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাংবাদিকেরা ট্রাকটির গতি রোধ করে ড্রাইভারকে বুঝিয়ে বলেন । সচেতনতার বিষয়ে ড্রইভারকে বুঝিয়ে বলাকে কেন্দ্র করে ইউনুস পাটোয়ারী বাচ্চু তথা “ বাবা ব্রিকফিল্ড” এর মালিক মোবাইলে সাংবাদিকদের বলেন, ঘরে বসেই ইউএনও , ওসিকে মেনেজ করি সাংবাদিক কোন চেটের বাল । এরপরেই ১২/১৩ জন সন্ত্রাসী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিক সাহাদাত হোসেন ও মাহমুদুর রশিদকে (রাজু) হত্যার হুমকি -দমকি দেন ।এ বিষয়ে ওই দিনেই সাংবাদিক রাজু বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় ইউনুস পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ।

অপরদিকে নিজের অপকর্ম থেকে রক্ষা পেতে ইউনুস পাটোয়ারীর বাচ্চু বা “বাবা ব্রিকফিল্ড” এ মালিক উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৮এপ্রিল) সেনবাগ থানায় হয়রানী মূলক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন ।

কে এ ইউনুস পাটোয়ারী বাচ্চু ? তার খুঁটির জোর কোথায় ? অনুসন্ধানে জানাযায় , সেনবাগ এলাকার পাগলা সিদ্দিক এর ছেলে ইউনুস পাটোয়ারী । ইউনুস পাটোয়ারী স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের হোতা এবং একজন ভূমিদস্যু এবং নারী গণধর্ষণকারীও বটে।

এলাকার অসংখ্য মানুষের সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অহরহ অভিযোগ রয়েছে এ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ।বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৩ সালের দিকে বিএনপি’র ক্লাবঘর নামে সাইনবোর্ড উঠিয়ে দখল করে ছিলো অসংখ্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের । সংখ্যালঘুদের জায়গা দখল নিয়ে অরুণ বাবু এবং তার সহোদর সুরেন্দ্র বাবু সাথে আদালতে মামলা চলমান ।

জনমনে প্রশ্ন- “ সিদ্দিক ব্রিকফিল্ড” কি ভাবে “বাবা ব্রিকফিল্ড” হলো ।হঠাৎ করেই “ সিদ্দিক ব্রিকফিল্ড” “বাবা ব্রিকফিল্ড” এ রূপান্তরিত হলো কেন ? এমটাই প্রশ্ন আমজনতার মাঝে ।জানাযায় ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে “ সিদ্দিক ব্রিকফিল্ড” দখল করেন । তবে, কখনো সরকারের নিয়ম মেনে চালাচ্ছেনা “বাবা ব্রিকফিল্ড”। খোঁজ নিয়ে জানাযায় , পরিবেশ ও বন অধিদফ্তর , জালানি অধিদফ্তর সহ সরকারের কোন দফ্তর থেকে অনুমোতি নেন নি । সম্পূর্ণ গায়ের জোরে চালাচ্ছেন “বাবা ব্রিকফিল্ড”। তা ছাড়াও “বাবা ব্রিকফিল্ড” এর শ্রমিক নির্যাতন করারও অভিযোগ রয়েছে অহরহ। শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করে উল্টো শ্রমিকদের মারদর করেন । তা ছাড়া “বাবা ব্রিকফিল্ড” এ শিশু শ্রমিক রয়েছে এবং কি করোনা মহামারিতেও শ্রমিদের ছুটি দেয়া হয় নি ।

এদিকে , ইউনুস পাটোয়ারী বাচ্চু সরকার এবং সেনবাগ উপজেলার আওয়ামীলীগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেনবাগে বিএনপি’র ডোনার পারসন সেজে বসে আছেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র পরিচালনা করেন ।

এলাকার এক মহিলাকে ধর্ষণ করে দীর্ঘ ১২ বছর স্বপরিবার পলাতক ছিলো । পরবর্তীতে কতিপয় কিছু নামধারী সুবিধাবাদী লোক কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে এলাকায় প্রবেশ করেন।

ঢাকার নবাবপুর রোড়ে “ নিগার হোটেল” এর সাথে অবৈধ ভাবে নারী ব্যবসার করার জন্য একটি প্লাট ভাড়া নিয়েছে । সে খানে বিভিন্ন এলাকা থেকে অসহায় নারীদেরকে চাকরির আচ্ছাস দিয়ে এনে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে ।

তার খুঁটির জোর কোথায় ? অনুসন্ধানে জানাযায় , নোয়াখালী -১ ও -২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং চিপ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুকের পালিত ক্যাডার ছিলেন ইউনুস পাটোয়ারী । হুইপ ফারুকের দাপড় দেখিয়ে এখনো এলাকায় ত্রাসের কায়েম করেন ইউনুস পাটোয়ারী ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন , উভয় পক্ষ পাল্টা পাল্টি অভিযোগ করেছে । তদন্ত অনুযাই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

সুত্রঃ এনএ নিউজ (পর্ব-১)

আপনার মতামত লিখুন :