সোনাগাজী মডেল থানার ওসি প্রত্যাহার
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে (১৮) কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার মামলা পুুলিশ ব্যুরো অব ইনবেষ্টিগেশনে (পিবিআই) হন্তান্তর করা হয়েছে। একই সাথে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
তিনি জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে এ সংক্রান্ত একটি ঠিঠির মাধ্যমে সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার ও মামলা পিবিআইয়ে হস্তান্তরের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে একইদিন দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পিবিআই’র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানের কাছে সকল নথিপত্র হস্তান্তর করা হয়। সোনাগাজী থানায় নতুন করে কাউকে এখনো দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
পুলিশ সুপার বলেন, মাদরাসা ছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামীসহ ৯জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত প্রকাশ অপ্রকাশ্য সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এজহার নামীয় বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চললে বলেও তিনি জানান।
এদিকে সোনাগাজীতে অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামী ও ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদৌলাসহ ৭ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবি নিশাতকে ছাদের উপর কেই মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের মান উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
এর আগে ২৭ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
জিএস নিউজ/এমএইচ/এমইউ


