রাজধানীতে গণপরিবহন নেই, দুর্ভোগে যাত্রীরা

জিএস নিউজজিএস নিউজ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:২২ পিএম, ০২ আগস্ট ২০১৮
রাজধানীতে গণপরিবহন নেই, দুর্ভোগে যাত্রীরা।gsnews24.com

স্টাফ রিপোর্টার:>>>

 

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের জেরে বৃহস্পতিবারও রাজধানী ঢাকার সড়কগুলোতে গণপরিবহনের দেখা মিলেনি খুব একটা। রাস্তায় দুয়েকটি বাস চলতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এর ফলে নগরীর রাজপথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখা যায়নি।

গণপরিবহন না থাকায় বিপাকে পড়ে অফিসগামী যাত্রীরা। দুয়েকটি গাড়ি চলছে সড়কে। সেগুলোতে চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে অনেক ঠেলাঠেলি করে অফিসগামীদের উঠতে হচ্ছে।

মিরপুর-মতিঝিল, মোহাম্মদপুর-সায়েদাবাদ, উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচলকারী নিয়মিত বাসগুলো সড়কে প্রায় দেখাই যায়নি। সকালের দিকে দেখা যায়, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, রোকেয়া সরণি, প্রগতি সরণি, এয়ারপোর্ট রোডে গাড়ি নেই বল্লেই চলে। কয়েকটি বাস চলাচল করছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় সংখ্যায় অত্যন্ত নগণ্য।

 

, গত ২৯ জুলাই দুপুরে ছুটির পরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আবদুল করিম ওরফে সজীব এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিম নিহত হন। তারা রাস্তার পাশের ফুটপাথে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিলে দু’জন নিহত হন। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পথচারীরা সাথে সাথে আহতদের কাছের কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর ৯ দফা দাবিতে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা।

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীর বাইরে। অব্যাহত সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ নিহতের প্রতিবাদে টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। এ কারণে টানা তৃতীয় দিনের মতো গতকালও রাজধানী ছিল অচল। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো গতকালও ছিল শিক্ষার্থীদের দখলে। ক্রমেই এই আন্দোলনের বিস্তৃতি ঘটছে। জাবালে নূর পরিবহনের লাইসেন্স ও রুট পারমিট গতকাল বাতিল করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে পরিবহনের এক পরিচালককে। রিমান্ডে নেয়া হয়েছে গাড়ির চালককে। এ দিকে, প্রতিবাদ চলাকালেই ট্রাকচাপায় রাজধানীর শনিরআখড়ায় এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়।

 

বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ : ছাত্রদের অহিংস আন্দোলনে গতকালও রাজধানী ছিল অচল। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রাস্তা অবরোধ করে গতকালও বিক্ষোভ করেছে ছাত্ররা। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গতকাল সড়ক অবরোধে অংশ নেয়।

বেলা ১১টায় উত্তরার ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়। এরপর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। রাজধানীর বাড্ডায় জড়ো হয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ফার্মগেট এলাকায় অবরোধ সৃষ্টি করে বিজ্ঞান কলেজসহ ওই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। রামপুরা এলাকায় অবরোধকারীরা সকাল থেকেই সক্রিয় ছিল।

মালিবাগসহ অন্যান্য এলাকায় আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে যানবাহনের লাইসেন্স চেক করে। এ সময় লাইসেন্সবিহীন দু’টি গাড়ি পাওয়া গেলে তরঙ্গ ও গাঙচিল পরিবহনের ওই দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা। যাত্রাবাড়ীতে সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা রাস্তায় অবস্থান নেয়।

তারা যানবাহনের লাইসেন্স চেক করে। এ সময় লাইসেন্সবিহীন গাড়িগুলো আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। যাত্রাবাড়ীতে কয়েক দফা পুলিশ ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ করে। শিক্ষার্থীরা তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। শাহবাগে এসে জড়ো হয়েছিল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। দিনভর তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। শাহবাগ দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। বৃষ্টির মধ্যেও সেখানে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে যায়নি। সকালেই পান্থপথ সিগন্যাল বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা। ল্যাব এইড ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় আগুনের কুণ্ডলী বানিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে তারা।

ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজসহ ওই এলাকার প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেয়। ল্যাব এইডের পেছনে পুলিশ বহনকারী একটি লেগুনার লাইসেন্স না থাকায় সেটি ভাঙচুর করে ছাত্ররা। মতিঝিলে দিনভর বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শাপলা চত্বরের চারপাশ দিয়ে পুরো এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এই এলাকা দিয়ে কোনো যান চলাচল করতে পারেনি। এমনকি আশপাশের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সকালে ওইসব প্রতিষ্ঠানে গাড়ি নিয়ে যারা প্রবেশ করেছেন তাদের গাড়ি আর বের হতে পারেনি। ছাত্রদের বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে ৯ দফা দাবি জানিয়ে তারা স্লোগান দেয়।

ছাত্রদের ওপর ট্রাক চাপা :

গতকাল দুপুরের দিকে রাজধানীর শনিরআখড়া এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ট্রাক চালিয়ে দেয়া হয়। এতে ফয়সাল নামের এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই শনিরআখড়া এলাকায় ছাত্ররা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছিল। তারা যানবাহন থামিয়ে লাইসেন্স চেক করে। যেসব গাড়ির লাইসেন্স ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠিক ছিল না ওইসব গাড়ি তারা আটকে রাখে। এমনই একটি ট্রাকের কাগজপত্র চাইলে ট্রাকটি ছাত্রদের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেয়। এতে ফয়সাল গুরুতর আহত হয়।

পুলিশের অবস্থান পরিবর্তন :

আন্দোলন শুরুর দু’দিন পুলিশ বেশ মারমুখো ছিল। এমনকি, ছাত্রীদের ধরেও পেটাতে দেখা গেছে। কিন্তু গতকাল পুলিশের অবস্থানের পরিবর্তন দেখা যায়। গতকাল বিভিন্ন এলাকায় পুলিশকে দেখা গেছে ছাত্রদেরকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামে ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পুলিশ নিয়ে আসে ছাত্রদেরকে বোঝানো জন্য। ছাত্ররা রাস্তা অবরোধ করে রাখলেও দু-একটি স্পট ছাড়া বেশির ভাগ এলাকায় পুলিশ সহিষ্ণুতার পরিচয় দেয়।

মারমুখী পরিবহনের শ্রমিকরা: গতকাল পরিবহন শ্রমিকদের মারমুখো আচরণ দেখা গেছে। বিশেষ করে টার্মিনাল এলাকায় তারা সাধারণ যাত্রীদের উপর চড়াও হয়েছে গতকাল দুপুরের দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় এক লাঘনা চালক সঙ্গে দুই যাত্রী বচসা হলে টার্মিনাল শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাত্রীকে মারধর করে বলে জানা যায়।

শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলন:

টানা তিন দিন আন্দোলন করলেও এই আন্দোলন বড় ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ছাত্ররা বলছে, তারা অহিংস আন্দোলন চলছে। গতকাল তাদের বিভিন্ন এলাকায় ড্রাইভারের লাইসেন্স পরীক্ষা করা হয়েছে দেখায়। এমনকি মোটরসাইকেল চালকেরাও এ থেকে রেহাই পাইনি রেহাই পাইনি পুলিশ গাড়িও বেশ কয়েকটি স্থানে পুলিশ মোটর সাইকেলের কাগজপত্র চেক করার জন্য শিক্ষার্থীদের দেখানো হয়েছে। এমনকি, পুলিশ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকায় এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণে গাড়ি আটকে রাখা শিক্ষার্থীরা। আবার রোগীভিত্তিক অ্যাম্বুলেন্সে পৌঁছানোর জন্য শিক্ষার্থীরা সাহায্য করে একটি রিকশা বা গাড়িতে বয়স্ক মুরব্বীদের দেখা হলে তাদের রাস্তার দেয় ছাত্ররা রাস্তা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় রাস্তা ঝাঁকুনি দিয়ে পরিষ্কার করা দেখা যায়।

দুর্ঘটনাস্থলে যেতে দেয়ার পুলিশ:

দুর্ঘটনাস্থল রেডিসনের সামনে পুলিশ বিক্ষোভকারীরা দৌড়াচ্ছে পুলিশ গতকাল ছাত্রদের এ স্পট যেতে হলে পুলিশ তাদের বাধা দিবে বিরতি ছাত্ররা উত্তরা ও বিশ্বরোড এলাকায় অবস্থান নেয়।

আন্দোলন ছড়িয়ে পড়া ঢাকার বাইরেও:

দুই দিন রাজধানীতে আন্দোলন চলতে গেলেও সম্প্রতি রাজধানী বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমই আন্দোলন বিস্তৃত ঘটছে গতকাল গাজীপুর, টঙ্গী, সাভার ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ করেছে।

জব্বলে নূর রুট পারমিট এবং লাইসেন্স বাতিল:

দুই শিক্ষার্থীকে হত্যাকারী বাস জব্বলে নূর লাইসেন্স এবং রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল BRTA থেকে এই তথ্য দেওয়া হয়।

রাজধানী অঘোষিত হরতাল:

শিক্ষার্থী আন্দোলনের ফলে টানা তৃতীয় দিনেও রাজধানী ছিল অঘোষিত হরতাল। রাজধানী বেশিরভাগ এলাকার জনপ্রিবরণশুনে সেখানে। রাস্তায় শত শত মানুষ দেখা যায় যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছে অনেক মানুষ মাইল পরে পরে মাইল পৌঁছেছেন যেখানে পৌঁছানো। কিন্তু তার পরেও মানুষের কোন অভিযোগ নেই এই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে উল্টো মানুষদের জন্য দুঃখের সাথে আন্দোলনের পক্ষেই সমর্থন জোগায়।

গত ২৯ জুলাই দুপুরে ছুটির পর রাজধানী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজুদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল করিম ওরফে সজীব এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিম নিহত হন। তারা রাস্তার পাশের পাপাতা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করা হয় এ সময় জব্বলে নূর পরিবহনের একটি বাসে তাদের চাপা দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। এ সময় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পথচারীরা সঙ্গে সঙ্গে আহতদের নিকট কুমারীটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর ৯ ডাফার দাবি রাস্তা নাম শিক্ষার্থীরা।

 

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে রাজপথ বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিপুল ছাত্রদের। গতকাল সকাল ১০ টার দিকে নগরীর কাজীর দেউরি মোড়ে সমবেত হয়ে মিছিল সমাবেশে চট্টগ্রাম প্রেস কাউব এর সামনে এসে বিক্ষোভ করে আগ্রাবাদ ছাত্ররা। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করেছিল।

গতকালের বিক্ষোভ বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দিওয়ানহাট সিটি করপোরেশন কলেজ, বেপজা কলেজ, হাজী মুহম্মদ মুহসিন কলেজ ও সরকারি সিটি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে ‘পড়তে এসেছি, মরতে না’, ‘যদি আপনি ভয় দেখেন তবে আপনি শেষ / যদি আপনি রাতে দাঁড়াতে পারেন তবে আপনি বাংলাদেশ’, ‘আর কত ছাত্রছাত্রীর জীবন নিয়ে বেপরোয়া চালকরা ক্ষান্ত হ’ল’, যদি আন্দোলন করা হয় তবে ভুল তিনি বলেন, ‘আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে’? এ সময় ছাত্ররা নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, শাজাহান খানের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেওয়া আছে। বেপরোয়া চালকদের মদদদাতা উল্লেখ করে নৌমন্ত্রীর অপসারণ দাবি ছাত্রদের।

গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে ছাত্রীদের একটি মানববন্ধন আয়োজন করা হয়েছিল। পরে একটি বিয়েভ মিলিভ ক্যাম্পাস প্রদানী করে একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হন। এতে বিভিন্ন বিভাগের দুই শত সহস্র অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করেন।

শরৎ কৈঁর কামেশ্বরের সঞ্চালন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাস্ট সাহিত্য সংসদের সভাপতি সুভম ঘোষ, সাস্ট সায়েন্স অ্যারেনার সাবেক সভাপতি রিফাত হায়দার, আমির হামজা, তৌহিদুজ্জামান জুয়েল, রণবীর কান্তি বিশ্বাস, রনি সরকার প্রমুখ।

বরিশাল ব্যুরো জানায়, 9 দফা দাবিতে বরিশাল বিয়েভ করেছেন শিার্থীরা গতকাল দুপুরে বরিশাল নগর চুমাথা এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে তারা বিয়েভ করে।
শেরেবাজার বিয়েভের ফলে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে সড়কের যান চলাচল বন্ধ আছে পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তেপে বেলা সোয়া ২ টায় কর্মসূচী প্রত্যাহার করা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাহার

এদিকে, কর্মসূচী শুরুর দিকে কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিব শিার্থীর গালগাল ও তাদের সাথে অসদাচরণ কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আন্দোলনকারী শিার্থীরা জানান, নিয়মিত কাস ও পরীা বর্জন করে বিকালে ১২ টায় বরিশালের সরকারি সৈয়দ হটেম আলী কলেজ, অমৃত লাল দে কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি মডেল কলেজ, ইনফ্রা পলিটেকনিক কলেজসহ বেশ কয়েকটি শাখা ছাত্রছাত্রী কয়েক শ ‘শেরতি নগর চৌমাথা এলাকা আসেন।

 

সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক আমিনবাজার ও সাভার বাসস্ট্যান্ডে গতকাল বুধবার বিভিন্ন শাখার ছাত্রছাত্রী দুই শিার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে। এ সময় সড়কটি ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। সকাল থেকে উচ্চ সড়ক পরিবহন কম থাকায় সাধারণ যাত্রী পরিবহনের সঙ্কট পড়া হয়। সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের টাঙ্গাইল রেসিডেন্সিয়াল কলেজ, সাভারের সিএফএমএম কলেজ, সাভার ল্যাবরেটরি কলেজ এবং লিজেন্ট কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন কলেজ ছাত্রদের একত্রিত হতে হবে।

আশুলিয়া (ঢাকা) সংবাদদাতা জানায়, রাজধানী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল প্রবেশদ্বার আশুলিয়ার সব সড়ক ও মহাসড়কে সীমিত পরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়। সাধারণ মানুষ এবং কর্মজীবী ​​সব শ্রেণীশিল্প মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আশুলিয়ায় ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-কালিয়াকৈর উচ্চ সড়ক পাশাপাশি আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল ও মিরপুর-নরসিংহপুর-কাশিমপুর-কোনাবাড়ি সড়কসহ সব শাখা সড়ক ব্যাপক পরিবহণ সঙ্কট। পুরো দিন ছিল সড়ক মহাসড়ক ফাঁকা। এভাবে অঘোষিত হরতাল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন নম্বর ক্রমই কমতে থাকে।

গাজীপুর সংবাদদাতা জানায়, বাসচাপায় দুই শিরি খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবং নিরাপদ সড়ক দাবিতে এখন গাজীপুরের বিভিন্ন শাখার ছাত্রছাত্রী গতকাল কয়েক দফা মহাসড়ক-সড়কে নেমে বিয়েভ ও অবরোধ করে দেয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চন্দনা চৌরাস্তা মোড়ে আশপাশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী বুধবার সকালের মিছিলের সাথে চোরংজি মোড়ে জড়ো করা হয়। একপর্যায়ে বেলা ১১ টায় সহস্রাধিক বিগ্রহ শিক্ষার্থীদের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কসহ ঢাকা-জয়দেবপুর সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ

এদিকে একই দাবিতে একই দিনে বিকালে এবং বিকালে জেলা শহর জয়দেবপুর বিক্ষোভ মিছিল সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্ররা কয়েক দফা বিভিন্ন সড়ক পার্শ্ববর্তী হয়।

টঙ্গী সংবাদদাতা জানায়, রাজধানী বাস চাপায় দুজন ছাত্রী সংঘর্ষ চলাকালেও চলমান আন্দোলন যোগ হয় টঙ্গী শিার্থীরাও। গতকাল বুধবার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী কলেজের গেট এলাকায় অবরোধ ও বিয়েভ মিছিল করেছেন শত শত শিলালি। বেলা ১১ টা টঙ্গী সরকারি কলেজ, পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ, শফিউদ্দিন সরকার একাডেমী ও কলেজ, সাহাজ উদিনের স্কুল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ সড়কে নেমে আসে।

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা জানায়, রাজধানী বাসের চাপায় দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে নজরবিহীন ছাত্র আন্দোলন হয়েছে। গতকাল সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়য়ী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়েক শ ‘ছাত্রী অবস্থান করে নারায়ণগঞ্জের সাথে রাজধানীসহ আশপাশের জেলার সকল যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। আটককৃত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল এ ছাড়া বন্ধ ছিল ঢাকা-সিলেট ও ​​ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল। সেই সময় সাইন বোর্ড এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর করে পরিবহন শ্রমিকরা বিকালে ৪ টা অবরোধকারীদের সরে গেলে যান চলাচল শুরু হবে।

ময়মনসিংহ অফিস জানায়, ময়মনসিংহ শহরের পাঁচটি পৃথক স্থানে বিয়ে করেছেন শিক্ষার্থীরা শহরের টাউন হল মোড় এলাকা থেকে এ বিয়েভ মিছিল শুরু হয়েছে বিভিন্ন শাখার শিক্ষার্থীদের।

স্থানীয় রাজধানী কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নেতৃত্বে প্রায় ৫০০ শরিয়ত শহরের নতুনবাজার, গঙ্গিনারপাড়, পটগুডাম ব্রিজের মোড়, টাউন হল মোড় এবং শহরবাপাস মোড়ে অবস্থান নেয়। প্রথম দিকে ছাত্রছাত্রীরা শান্তির সাথে বিয়ে করলেও হঠাৎ করে চুপচাপ হয়ে যায়।

আপনার মতামত লিখুন :