অবশেষে স্বীকার করলেন সিইসি !!

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির সম্প্রসারিত অংশের ওয়ার্ডগুলোর নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তবে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও এ ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট তিনি।
শুক্রবার সকালে জাতীয় ভোটার দিবসের র্যালিতে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে উপজেলা পরিষদ, মেয়র পদে ও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন/উপ-নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটির ভোটে ভোটার ছিল উল্লেখযোগ্য হারে কম। আর এই কম হওয়ার তিনটি কারণ জানিয়েছেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি কারণে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল বলে আমি মনে করছি। ঢাকা সিটির নির্বাচনের মেয়াদ খুব কম, এটা প্রথম কারণ ভোটার কম উপস্থিত হওয়ার। প্রধান রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি, এটা দ্বিতীয় কারণ। আবহাওয়া খারাপ ছিল, তৃতীয় কারণ হলো এটা। এসব কারণে ভোটার উপস্থিত হয়নি।’
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) গিয়ে শেষ হয়। এতে কমিশনার মাহবুব তালুকদারসহ নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
‘ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে কমিশন সন্তুষ্ট কি না’ জানতে চাইলে নূরুল হুদা বলেন, ‘হ্যাঁ, সন্তুষ্ট। তবে বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ভোটারদের যে উপস্থিতি, তা এ দেশের ভোটের প্রকৃত চিত্র নয়। তার দাবি, এ দেশের মানুষ সারি বেঁধে ভোট দিতে যায়।’
মানুষের ভোটাধিকারের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমি বলবো সবার ভোটাধিকার পুরোপুরি ফিরে এসেছে। আমরা সবার ভোট দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনে ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৯ লাখ ৪২ হাজার ৫৩৯ জন ভোটার। সে হিসাবে ভোট পড়েছে ৩১.৫ শতাংশ।
দেশে প্রথমবারের মতো ১ মার্চ পালন করা হচ্ছে জাতীয় ভোটার দিবস। ‘ভোটার হব ভোট দেব’ স্লোগানে সারাদেশে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।