এসিড দিয়ে স্ত্রীর শরীরে নাম লিখলেন নেশাগ্রস্ত স্বামী

জিএস নিউজ ডেস্কজিএস নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৯:৫৪ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:>>>

এসিড দিয়ে এক গৃহবধূর শরীরে নিজের নাম লিখে দিয়েছেন নেশাগ্রস্ত স্বামী। এ ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীতে। শনিবার এঘটনায় গৃহবধূ মহিমাকে (১৯) গুরুতর অবস্থায় পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, ১ বছর আগে পূর্ব-আউলিয়াপুর এলাকার মো. আশরাফ আলীর মেয়ে মহিমার সঙ্গে দক্ষিণ-আউলিয়াপুর এলাকার মো. মতিউর হাওলাদারের ছেলে মো. হাসান মাহমুদ হাওলাদারের বিয়ে হয়।

গৃহবধূর মহিমা জানান, ৮ম শ্রেণির ছাত্রী থাকা অবস্থায় তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমাকে ঢাকায় নিয়ে যায় হাসান। তার বাবার বাড়ির কারও সঙ্গে যাতে যোগাযোগ করতে না পারে সেজন্য সবার মোবাইল নম্বর ব্লকলিস্টে রাখাও হয়। এ নিয়ে তাঁকে প্রায়ই প্রতিদিন মারধর করত হাসান।

মহিমা আরো বলেন, ‘প্রতিদিন গাঁজা ও মদ সেবন করে বাড়ি আসে হাসান। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মারধর করা হয়। কয়েকদিন আগে একরাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি এসে আমাকে মারধর করে। পরে দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে আসে। ওই ওষুধ আমাকে জোর করে খাওয়ানো হয়। পরে ওষুধ খেয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম ভাঙলেও ব্যথা-যন্ত্রণায় বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। কিছুক্ষণ পর শরীরে তাকিয়ে দেখি অনেক স্থানে ফোসকা পড়ে গেছে। ওইদিন রাতে আমার শরীরে এসিড দিয়ে নিজের নাম লিখে দিয়েছে হাসান। এখন শরীরের অনেক স্থানে ক্ষত তৈরি হয়েছে।’

মহিমার মা হনুফা বেগম বলেন, ১৫ দিন আগে হাসানের খালা নাসিমা ফোনে জানায় আমার বোনের ছেলে ভালো না। আপনার মেয়েকে এখান থেকে নিয়ে যান, না হয় মারা যাবে। হাসানের নির্যাতন আমরা সহ্য করতে পারছি না। তার মুখে এসব কথা শুনে অনেক চেষ্টা চালিয়ে শনিবার অসুস্থ মেয়েকে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে আসি। এ ঘটনায় হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করব আমি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. হাসান মাহমুদ হাওলাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হয়। একপর্যায়ে মোবাইল রিসিভ করে রং নম্বর বলে ফোন কেটে দেন হাসান।

পটুয়াখালী হাসপাতালের চিকিৎসক আকলিমা বেগম বলেন, এসিড দিয়ে মেয়েটির মুখে ও শরীরে হাসান নামে একজনের নাম লেখা রয়েছে। মেয়েটি বলেছে হাসান তার স্বামী। এসিড দেয়া স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ নিয়ে কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। ওই মেয়ের বিষয়ে খোঁজখবর নেব আমরা।

আপনার মতামত লিখুন :