কারা হত্যা করেছে তাদের?

MD Aminul IslamMD Aminul Islam
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১০:৫১ এএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ>>>>

শুক্রবার ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত তৃতীয় এক ব্যক্তির মরদেহ গলায় ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ চিরকুট লাগানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। গত এক মাসের মধ্যে এরকম আরো দুটি ঘটনা ঘটেছে।

এর মধ্যে ঝালকাঠি জেলাতেই পাওয়া যায় দুটি মরদেহ এবং এগুলো একই ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত দু’ব্যক্তির।

প্রথমে সজল জমাদ্দারের মরদেহ পাওয়া যায় ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায় এক ধানক্ষেত থেকে। তারপর ছয় দিনের মাথায় একই ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত দ্বিতীয় ব্যক্তি রাকিব মোল্লাহর মৃতদেহ পাওয়া যায় গলায় চিরকুট ঝোলানো অবস্থায় রাজাপুরে একটি ইটের ভাটার পাশে।

দু’জনেরই গলায় ঝুলানো চিরকুটে লেখা ছিলো তাদের নাম, কোন ধর্ষণ মামলার তারা অভিযুক্ত এসব তথ্য। এছাড়া চিরকুটে আরও লেখা ছিল : ‘ধর্ষকের ইহাই পরিণতি’ এমন একটি বাক্য।

এবিষয়ে ঝালকাঠির পুলিশ বলেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন, তবে তাদের নিজেদের মনেও এই একই প্রশ্ন।

ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টা নিয়ে আমাদেরও একটা প্রশ্ন। কারণ হল এরা আমাদের এই এলাকার কেউ না, এদের বাড়ি এখানে না, এখানকার কোন অপরাধের তারা জড়িত না, তাদের অপরাধের ঘটনাস্থল অন্য জেলায়। এখন আমরাও বোঝার চেষ্টা করছি এই লাশগুলো এখানে কিভাবে আসলো। কারা এগুলো করছে তা আমরা তদন্ত সাপেক্ষে বলতে পারবো।

প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিলো সাভারে। জানুয়ারির ১৮ তারিখ সেখানে ধর্ষণের ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ চিরকুট গলায় ঝোলানো অবস্থায় একজন অভিযুক্তর মৃতদেহ পাওয়া যায়।

এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া ও প্রতিহিংসামূলক আরও ঘটনার জন্ম দিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। তবে সব মিলিয়ে কে এভাবে হত্যা করছে, আর একই পদ্ধতি অবলম্বন করে কেন মরদেহগুলো ফেলে রেখে যাওয়া হচ্ছে – সে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :