নিয়োগের আগেই ১১২ প্রার্থী চূড়ান্ত!

জিএস নিউজজিএস নিউজ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৯:৪৮ এএম, ১০ জুলাই ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার:>>>

ইসলামি আরবি ইউনিভার্সিটিতে অফিসার-কর্মচারী পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগে ১১২ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে, যারা ইতিমধ্যেই অস্থায়ী নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য যোগ্যতা নিরসন করা হয়েছে তৃতীয় দফায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম নামে একটি চাকরি প্রার্থী দুর্নীতি দমন কমিশন এ অভিযোগ করেছে। তার লিখিত অভিযোগের সঙ্গে ১১২ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ২৭ জনের বাড়ি চট্টগ্রামে। কমিশন থেকে বিষয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানতে চাওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভিসার বাড়ি চট্টগ্রামে। তাই এ জেলার প্রার্থীদের অধিকাংশ পেয়ে গেছে

চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং পরিদর্শক এই তিনজন মিললে পছন্দ করেছেন ১১২ জন প্রার্থী স্থায়ী নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করেছেন। তাদের অস্থায়ী নিয়োগের ক্ষেত্রেও কোটা মানা হয়নি। এখন স্থায়ী নিয়োগ তাদের জন্য প্রতি থেকে পদ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। এমনকি নিয়োগ কমিটি যাঁরা নিষিদ্ধ-দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন, তাদের দক্ষতা বাদ দেওয়া হয়েছে।

অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন কর্মকর্তা পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরের একজন অস্থায়ী কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা

শিক্ষকদের একটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় একটি নেতাও জড়িত।

জানা যায়, ফজিল ও কামিল মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত। এর বর্তমান ক্যাম্পাস মোহাম্মদপুরের ব্লেইয়ায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথমে প্রথম বছর ২১ আগস্ট ৫২ টি পদে কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। তারপর আবার চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি আরও ৪৮ পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। দুই বিজ্ঞপ্তি মিলিয়ে পাঁচ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছেন।

গত ৪ এপ্রিল নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এমনকি প্রার্থীদের নিজের ঠিকানাতে প্রবেশপত্রও ইস্যু করা হয়। তারপর অবিলম্বে শেষ ২৭ মার্চ নিয়োগ পরীক্ষার স্থগিত করা হয়। এরপর আবার ২৪ মে ১১২ টি পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ৮ জুলাই থেকে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়েছে, যা চলছে ১৩ জুলাই পর্যন্ত।

জানা গেছে, সব মিলিয়ে আবেদনকারীদের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। আবেদনকারীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে পদ অনুযায়ী এক হাজার এবং ৫০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট নেওয়া হয়েছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রায় এক কোটি টাকা

অভিযোগ আছে, অফিসার নিয়োগের জন্য প্রত্যেক প্রার্থীকে প্রদান করা হয় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা এবং কর্মচারী পদে থেকে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। পছন্দসই প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সর্বশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ১৪ নম্বর শর্ত মর্মে সিলিনেট করা হয়েছে। বলা হয়, ইসলামিক আরবি ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের শর্তগুলি নিখুঁত।

নাম প্রকাশ না করে একজন প্রার্থী কালের কণ্ঠে বলেন, ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি আগে প্রার্থী নির্ধারণ করা হলে কেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে?

প্রায় ১০ হাজার প্রার্থীর কাছ থেকে এক কোটি টাকার ব্যাংক ডাফট নেওয়া হয়েছে এও এক ধরনের হৈচৈ আমরা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ‘

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড। মো। আহসান উল্লাহ কালের কণ্ঠে বলেন, ‘যাঁদের আগে অ্যাডহক (অস্থায়ী) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তারা অগ্রাধিকার পেতে হবে। তবে তাদের সবাইকে যে নিয়োগ দেওয়া হবে, তা সঠিক নয়। বহিরাগত প্রার্থীগণকে নেওয়া হবে আমি স্পষ্টতই আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চাই। ‘

চট্টগ্রাম জেলা থেকে ২৭ জন অস্থায়ী নিয়োগের বিষয়ে ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, ‘আমার ড্রাইভার, মালি, কুক এই পদগুলি সাধারণত চট্টগ্রাম থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়। উচ্চপদে তামন এক না। আর ২৭ জনের সংখ্যা আরও কম হতে পারে এর পরেও বেশী পেয়েছি, পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট জেলা প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ রাখা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :