ভোট ডাকাতির মহোৎসব গাজীপুরে
স্টাফ রিপোর্টার:>>>
উদ্বেগ, উদ্বোধন, প্রকাশ্যে বেলট সীল মারা, এজেন্ট বের করে দেয় এবং বিভিন্ন অনিয়ম দিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল সকাল থেকে টঙ্গী, গাজীপুর সদর, গড়া, চৌরাস্তা কুলতিয়া, কাশিমপুর, কোনাবাড়ীসহ সমগ্র নির্বাচনী এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়, ভোটার কাউন্সিলগুলোতে বিএনপির এজেন্ট নেই। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গাজীপুর সিটি বিভিন্ন এলাকা দখল করে বিএনপি এজেন্টদের বের করে দিয়েছিল জাল ভোটের মহোৎসব চালানো। এমনকি নারীদের কেন্দ্রস্থল ঢাকায় আওয়ামী লীগের পুরুষ নেতাকর্মী এবং নির্বাচনকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জাল ভোট দিয়েছে। : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নিয়ন্ত্রণে ছিল আওয়ামী লীগ, মাঠে ছিল না BNP এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০৯ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৬১ ভোট এগিয়ে এগিয়ে আছে।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি প্রার্থী হাসান উদিন সরকার পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৫০১ ভোট। গত মঙ্গলবার সকাল 8 টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ৪২৫ টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জাল ভোটা ভোট এবং কেন্দ্র দখল করা অভিযোগে ৯ টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদিন সরকার। তিনি বলেন, জালিয়াতি, কারচুপি, ভোট ডাকাতির ফলাফল গাজীপুরবাসী মেনে নেবেন না।
গাজীপুরবাস 80 বছর ইতিহাসে এমন ভোট ডাকাতি দেখেনি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৪ শ ‘বেশি কেন্দ্র ভোট জালিয়াতি হয়েছে। আওয়ামী লীগের স্বরূপ প্রত্যাখ্যানের জন্য বিএনপি নির্বাচন বয়কট করেছে বলে জানান হাসান সরকার। তিনি বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র দখল এবং ভোট জালিয়াতি মাধ্যমে একচেটিয়াভাবে ভোট গ্রহণ করা হয় গাজীপুর।
বিএনপির এজেন্টদের জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন। এই ভোট ইতিপূর্বে গাজীপুরবাসী দেখা হয়নি নির্বাচনের মাধ্যমে কমিশন ধ্বংস করা হয়েছে গাজীপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট স্থগিতের দাবি করে হাসান উদিন সরকার পরে ভোটাধিকার প্রত্যাশিত দাবি লিখিত অভিযোগে দোষীদের প্রার্থী হাসান সরকার বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে রিটার্নিংং অফিসারের কার্যালয় যান।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শত শত কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের খুঁজে বের করা হয়েছে। অনেককে মারপিট করেছে সরকারি দলের লোকরা সেখানে সিল মার এবং জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। এই অনিয়ম কারণে আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানানোর জন্য।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিমু। নির্বাচন বর্জন কি কি কোন প্রশ্ন তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন প্রশ্ন আসে না আমি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ জনগণ এবং বিশ্বজনীন কে এই অনিয়ম সম্পর্কে আমি জানতাম না এক ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে’ তাকে সংবাদ মাধ্যম ও ভোটার সহযোগিতা করা বলে তিনি বলেন, আশা প্রকাশ করা হয় বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা হাসান সরকার।
আড়াই ঘন্টা ব্যালট পেপার শেষ! : ভোটগ্রহণের আড়াই ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৭ নং ওয়ার্ডের মুগরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ব্যালট পেপার।
সকাল সকাল ১০ টায় কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেশনে আ। লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো। জাহাঙ্গীর আলমের নৌকা মার্কার লোকজন জানা গেছে, কিছুক্ষণ পরেই বিএনপি নেতাদের বের করে দেয় আওয়ামী লীগের বোট প্রতীকক কর্মীরা। পরে তারা কেন্দ্রে ঢুকে বেলট নিয়ে নৌকা মার্কা সিলে মারতে থাকত। বেলট পেপার না থাকায় কেন্দ্রে বাইরে ভোটাররা দাঁড়িয়ে থাকা অপোতে দেখা যায়।
এ কেন্দ্রের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর একজন পোলিং এজেন্ট অভিযোগ করেন, সকাল 9 টায় ইসমাইল হাজী, মাইনুদ্দিনসহ আরও একটি ভোটকেন্দ্রে এসে বেলট পেপার ছিনতাইয়ের সাথে জোরপূর্বক সিল মারে যেখানে প্রিসাইডিং অফিসার কোনও স্বর নেই। এ অবস্থায় আমরা উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সবিনয় অনুরোধ জানাই।
গতকাল কখনও কখনও এই মগরখালী এলাকায় ভোট হিংসা ঘটনা ঘটেনি আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচন চালু করতে দাবি করা এই পোলিং এজেন্ট। রিটার্নিংং অফিসার বা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় পাশে ভিড়ে নাস্তি বিএনপি: টঙ্গী নুয়েগাঁও এমএ মিজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র আশপাশে আশেপাশে যায় না বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী নেতাকর্মীরা এবং এজেন্টদের। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় আশপাশে বিএনপি মেয়র প্রার্থী কোনো নেতাকর্মী দেখা যায়নি।
কিছু সময় পরে তাদের কয়েকজন তাদের বিএনপি মেয়র প্রার্থী এজেন্ট পরিচিতি প্রবেশ কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের ধাওয়া আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ যারা নেতাকর্মীরা। এর আগে সকাল ৯ টায় এ কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়,
কাউন্সিলর ও আভা লীগের মেয়র প্রার্থী এন্টি হলেও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী কোনো এজেন্ট নেই।
সেই কেন্দ্রের কাউন্সিলার প্রার্থীদের যে এজেন্ট আছে তারা তাদের নৌকা প্রতীক এর এজেন্ট পরিচিতি দেয়। এমনকি তারা নৌকা প্রতীককের প্রার্থী ব্যাচ ধারণ করেছে সেই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বদিউউ আলম বলেন, সকাল ৯ টায় আমাকে যখন এজেন্টদের ফরম দেওয়া হয় তখন সেখানে দারের শীষ প্রার্থী এজেন্টদের ফরম পাইনি।
সেই স্কুল তিনটি ভোটকেন্দ্রের একই অবস্থা। এ বিষয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ড। মজহার জানান, তারা তাদের প্রার্থীদের এজেন্টদের হুমকি-ধমকি দ্বারা বের করে দিয়েছে এবং মারধর করা হয়েছে। : মেয়র ভোট দিতে প্রয়োজন



