লোকাল সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির সকল বাধা-বিপত্তি

মেহরাব হোসেন মেহেদীমেহরাব হোসেন মেহেদী
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:৩২ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২০
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ- পৃথিবীর মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ যার প্রত্যেকটি মানুষ স্বপ্ন দেখে এবং শৌখিনতা করতে ভালোবাসে| এই দেশে শৌখিনতার অনেক বড় একটি আইটেম টেকনোলজির ব্যবহার – সেটা হোকনা ছোট্ট একটি মোবাইল ব্যবহার| যদিও টেকনোলজি আজ শুধু শৌখিনতার মধ্যেই নেই – ডিজিটাল বাংলাদেশে নিজস্স স্যাটেলাইট ব্যবহারও শুরু হয়ে গেছে। দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো টেকনোলজি ব্যবহারের একটি অপরিহার্য অঙ্গ সফটওয়্যার টেকনোলজি যেটি একাই একটি বড় ইন্ডাস্ট্রি।

সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশে খুব বেশি পুরাতন না হলেও গত ২০ বছরে এটি অনেক বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে বড় হচ্ছে। এই বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি গার্মেন্টস বা বিদেশে মানবসম্পদের মতো বড় একটা ইনকাম খাত যাচ্ছে। এই লেখাটির প্রধান উদ্দেশ্য লোকাল সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির এই বাধাগুলো চিহ্নিত করা -যাতে করে বিষয়গুলোর সমাধানের উদ্দ্যোগ নেয়া যায়।

১) সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোতে বাধা:

যথাযথ ইনভেস্টমেন্ট না হওয়া:

আমাদের দেশে সফটওয়্যার প্রোডাক্ট/প্লাটফর্মে পর্যাপ্ত ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে না। প্রধান কারণ হিসেবে বলা যায় –
– আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বাজার তথ্য না থাকা।

– দক্ষ এবং উচ্চ মানসম্পন্ন বিজনেস প্রফেশনালের অভাব।

– বড় গ্রুপ প্রতিষ্ঠান গুলোর বিভিন্ন কারনে সফটওয়্যার ব্যবসায়ে অনীহা।

– বেশিরভাগই ইঞ্জিনিয়ারদের গড়া স্টার্টআপ যারা ইনভেস্টমেন্ট মেনেজমেন্টে অদক্ষ।

– ব্যাংক ফাইনেন্স এর অভাব।

– সর্বোপরি সফটওয়্যার ইন্টেঞ্জিবল হওয়া।

দক্ষ ও মানসম্পন্ন কর্মীর অভাব:

– আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার সিলেকশন ও তৈরী যথারীতি ভুল হচ্ছে। কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া বেশির ভাগ স্টুডেন্টই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। এই বিষয়ে পড়ে অনেক ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং পোস্টের জন্য কিভাবে তৈরি হওয়া যায় সেই জ্ঞানের অভাব। যার ফলে পড়ালেখা শেষ করে স্টুডেন্টরা বলছে জব পাচ্ছে না অন্যদিকে সফটওয়্যার কোম্পানি তার জন্য যোগ্য কর্মী খুঁজে পাচ্ছে না|

– পর্যাপ্ত পরিমান আইটি কোম্পানি থাকার পরও এস্টাব্লিশমেন্টের অভাবে অন্য বিষয় থেকে পড়াশোনা করা প্রফেশনালরা সফটওয়্যার কোম্পানি তে আসার প্রবনতা খুবই কম।

– সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে পর্যাপ্ত পরিমান সিনিয়র এর অভাবে নতুন প্রফেশনালরা এটাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে ভয় পাচ্ছে।

অপরিকল্পিত সফটওয়্যার/আইটি কোম্পানি গড়ে তোলা:

– অপরিকল্পিত ভাবে সফটওয়্যার কোম্পানি শুরু হচ্ছে প্রতিনিয়ত, যেখানে উন্নত দেশে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া কোন সফটওয়্যার কোম্পানি শুরু হয় না। এই অপরিকল্পিত সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো সকল ধরনের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস বিক্রি করার চেষ্টা করে – যার ফলে বাজারে অনিয়ন্ত্রিত প্রতিযোগিতা, মূল্য বৈচিত্র এবং দিন শেষে কাস্টমার ট্রাষ্ট নষ্ট হচ্ছে । এই হুজুগ থেকে আমরা বের হতে না পারলে সফটওয়্যার বাজার আরো নষ্ট হয়ে পরবে।

– সফটওয়্যার এমন একটি ব্যবসা যা কোন স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা দিয়ে করা সম্ভব না। অবশ্যই দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করা লাগে। যার অভাবে আমরা দেখতে পাই একটি কোম্পানি এক ধরণের সার্ভিস থেকে আরেক ধরনের সার্ভিসে দ্রুত শিফট হয়ে যাচ্ছে, তার মানে প্রথম সার্ভিস ব্যবসার পরিকল্পনাটি দীর্ঘমেয়াদি ছিল না। যে কোন ব্যবসায় ভিশনারি হওয়ার জন্য ধৈর্যশীলতা ও কঠিন মনোবল প্রয়োজন। আজকে যাদেরকে ৪০-৪৫ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে দেখছেন তাদের হিস্টরি পড়লে দেখা যায় ওদের দক্ষতার সঙ্গে মানসিক শক্তি ও ধৈর্যশীলতা তাদেরকে আজকের দিনে উপনীত করেছে।

সফটওয়্যার ব্যবসাকে সার্ভিস ওরিয়েন্টেড না করতে পারা:

– দেশের অধিকাংশ সফটওয়্যার কোম্পানি প্রথম কয়েক বছর বেশ কিছু কাস্টমারের কাছে সফটওয়্যার দিচ্ছে। কিন্তু এক বা অধিক বছর পর কাস্টমার গুলোকে সার্ভিস-সাপোর্ট দেয়ার অবস্থায় থাকছে না। বেশির ভাগ সফটওয়্যার এর আর্কিটেকচার এবং কোম্পানির অবকাঠামো পরবর্তী তে কাস্টমার সাপোর্ট দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকছে না, দিন শেষে সফটওয়্যার গুলি ফেইল করছে। ফলে কাস্টমার সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর উপর ট্রাষ্ট হারাচ্ছে অন্যদিকে সফটওয়্যার কোম্পানি গুলো কাস্টমারের দোষ দিচ্ছে। সর্বোপরি সফটওয়্যার বাজারের বাঁধা গুলোর মধ্যে সার্ভিস ওরিয়েন্টেড না হওয়া অনেক মুখ্য কারণ। প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট এবং বাজারজাত করার সময় সর্বনিম্ন ২০ বছর সার্ভিস দেওয়ার কথা চিন্তা করা উচিত।

টেকনো-কমার্শিয়াল পার্টনারশীপে সফটওয়্যার কোম্পানি তৈরি না করাঃ

– আমাদের দেশের বেশির ভাগ পুরাতন সফটওয়্যার কোম্পানি বিজনেস ব্যাকগ্রাউন্ড এর লোকদের হাতে তৈরি এবং নতুন কোম্পানি গুলোর টেকনোলজি ব্যাকগ্রাউন্ড এর কিন্তু সফটওয়্যার কোম্পানি তৈরি করা উচিত টেকনো-কমারশিয়াল পার্টনারশিপে যাতে প্রোডাক্ট তৈরি, বাজারজাত, লিগাল, রিস্ক ও এগ্রিমেন্ট এর বিষয় গুলো চালানোর অবস্থা থাকা।

কম্পেটিটর প্রোডাক্ট ও বাজার এনালাইসিস না করা:

– লোকাল সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল কম্পেটিটর এনালাইসিস না করে প্রোডাক্ট তৈরী ও বাজারজাত করা শুরু করে| এবং বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেনা। একটা বিষয় মাথায় রাখা উচিত সফটওয়্যার ব্যবসার আলটিমেট কম্পেটিটর মাইক্রোসফট, গুগল, ওরাকেল এর মতো বড়ো কোম্পানিগুলো। সুতরাং সফটওয়্যার মার্কেট ন্যাচার ও কম্পেটিটর এনালাইসিস না করে ব্যবসায় আসা উচিত না।

পর্যাপ্ত সার্টিফিকেশন না থাকা:

– লোকাল সফটওয়্যার কোম্পানি গুলোর কোয়ালিটি, সিকিউরিটি ও প্রসেস সার্টিফিকেশন না থাকার কারণে এই সব বিষয়ে দুর্বলতা এবং সর্বোপরি ক্লায়েন্ট বিশ্বস্ততা হারানো দৈনন্দিন বেপার হয়ে দাড়িয়েছে।

২) ক্লায়েন্ট থেকে বাধা:

সফটওয়্যার ক্রয়ের পর্যাপ্ত জ্ঞান:
আমাদের দেশীয় ক্লায়েন্ট কোম্পানিগুলোর অল্প কিছু ব্যতীত বাকিরা সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিস ক্রয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখাতে পারছেন না। সচেতনতা ও দক্ষতার অভাবে তারা যা ক্রয় করছেন তা দীর্ঘ্যস্থায়ী হচ্ছেনা। সফটওয়্যার, ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি এবং আইটি সার্ভিস কেনার ক্ষেত্রে চেকলিস্ট যথেষ্ট ভিন্ন এবং সেটা জানা না থাকলে সফটওয়্যার ভেন্ডরদের সঙ্গে খুঁটিনাটি অনেক বিষয়ে বিতর্ক হতে থাকে – যার এক পর্যায়ে সম্পর্ক নষ্ট হয়, ফলে ক্লায়েন্ট ডাটা নিয়ে বিপদে পড়ে যায়।

নন-স্ট্যান্ডার্ড বিজনেস প্রসেস:

ছোট বা মাঝারি কোম্পানিগুলো নন-স্ট্যান্ডার্ড বিজনেস প্রসেসে কাজ করে কিন্তু সফটওয়্যারে এ আসতে গেলে তাদেরকে স্ট্যান্ডার্ড ফরমেটে আসার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা পোহাতে হয়। এটার কারণে অনেক ক্লায়েন্ট স্ট্যান্ডার্ড সফটওয়্যার না কিনে কাস্টম অর্ডার দিয়ে সফটওয়্যার তৈরী করিয়ে নেয় কোনো টীম বা কোম্পানি থেকে – বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই কাস্টম সফটওয়্যার গুলোর আপডেট ও মেইনটেনেন্স খুবই কঠিন ও ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে।

ক্লায়েন্ট কোম্পানিগুলোতে আইটি জ্ঞানের স্বল্পতা:

কোম্পানিগুলোতে দেখা যায় একটা সফটওয়্যার নিতে তাদের প্রফেশনালরা অনেক ভয় পায়। তারা মনে করে তাদের আইটি ডিপার্টমেন্ট ক্ষমতাশীল হয়ে তাদের পজিশন দুর্বল করবে ( এটা নিয়ে অনেকে সুযোগ ও নিচ্ছে ) – কিন্তু এটা শুধু মাত্র আইটি বোঝার ভুল – সফটওয়্যার সিস্টেমের কারণে কারো পজিশন বা দায়িত্ব বদলাবে না বরং দায়িত্ব পালনে অনেক সহায়ক হবে।

৩) এডুকেশন ও সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির গ্যাপ:

– এমবিবিএস এর মতো কম্পিউটার সাইন্স বা ইঞ্জিনিয়ারিং একটা ডিগ্রী নিয়ে কোন স্পেশালাইজেশনে কাজ করবে সেই গাইডলাইন পাচ্ছেনা। এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন গুলোর উচিত তাদের মেধাভিত্তিক পজিশনের জন্য স্কিল তৈরী করতে সহায়তা করা।

– বাজারে অনেক ট্রেনিং সরকারি-বেসরকারিভাবে চলছে যার বেশিরভাগ সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখছেনা। এর প্রধান কারণ – কারিকুলাম, যেটা সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর প্রয়োজনীয়তা না জেনেই কারিকুলাম তৈরী করা হচ্ছে। আরো কিছু বাধা তৈরী হচ্ছে শুধুমাত্র প্রাকটিক্যাল এডুকেশনের অভাবে।

৪) ট্রেডবডি থেকে বাধা:

– বাংলাদেশের আইটিতে যে সব ট্রেড বডি কাজ করে এর কোনটাই মুখ্যভাবে সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করে না। দায় সাড়া গোছে এক্সপো ইভেন্ট নিয়ে কাজ করলেও মার্কেট ডেভেলপমেন্ট, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পলিসি লেভেল এর কাজ খুব কম এবং ধীরগতির।

– সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মেম্বার সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর ক্লাসিফিকেশন দেয়া হচ্ছে না যার ফলে সরকার বা বড় প্রতিষ্ঠান কল সেন্টার সার্ভিস কোম্পানি থেকে ই-গভর্নমেন্ট সিস্টেম কিনে বিপদে পড়ে যাচ্ছে।

– বেশিরভাগ ট্রেডবডিই ইন্টারনেট, ই-কমার্স ও সফটওয়্যার কোম্পানির ব্যবধান নিয়ে কাজ করার চিন্তাই করছেন না।

৫) গভর্নমেন্ট থেকে বাধা:

– গভর্নমেন্ট দেশীয় কোম্পানিগুলোকে পেট্রোনাইজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু সেখানেও ক্লাসিফিকেশন খুবই দুর্বল এবং সেটাও অনেকখানি ট্রেডবডি থেকে যা সুপারিশ আসে তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা ছাড়া উপায় থাকছে না।

– সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে লোকাল কোম্পানি গুলোর প্রাধান্য অনেক কম এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দেশীয় সফটওয়্যার এর অবস্থান পরিষ্কার না। যার ফলে যে সফটওয়্যার লোকাল থেকে ক্রয় করা উচিৎ সেটাও অন্য দেশ থেকে আসছে। এমনও দেখা গেছে যেই দেশের সঙ্গে আমাদের ভালো ডিপ্লোম্যাটিক বা ট্রেড রিলেশনশিপ নেই সেই সব দেশ থেকেও ক্রয় করা হয়েছে। এই সকল কারণে দেশীয় সম্পদ থেকে শুরু করে অপারেশনাল অনেক কিছুই বিদেশিদের দখলে চলে যাচ্ছে যেটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছিনা – অনভিজ্ঞতার কারণে বা অবহেলায়। অদূর ভবিষ্যতে আমাদের রাষ্ট্রীয় ডাটা সিকিউরিটি এইসব কারণে অসম্ভব হয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরী করছে।

– সফটওয়্যার ক্রয়, আপডেট, রিনিউ ও ডাটা সিকিউরিটির জন্য যেইসব নিয়ম নীতি নিয়ে দ্রুত বিবেচনায় আনা দরকার সেটা হচ্ছেনা, যার ফলে প্রচুর গভর্নমেন্ট সিস্টেম ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ছে। এই সব পয়েন্ট এ পদ্ধতিগত উন্নয়ন না করা গেলে রাষ্ট্রীয় ডাটা সুরক্ষা করা কঠিনতর হয়ে উঠছে।

৬) প্রফেশনালদের থেকে বাধা:

– বিদেশমুখী মানসিকতা: বাংলাদেশে ভালো প্রফেশনাল মানেই বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে বসবাস। দেশের অবকাঠামো বা সিকিউরিটি নাকি এর বড় কারণ যেটা আমার কাছে মনে হয়নি। সবার দেশের প্রতি একটু মায়া জন্মাতে পারলেই দেশটা এগিয়ে যায়| অবশ্য এই বিষয়ে সরকারকেও একটু ভেবে দেখা উচিত কিভাবে উচ্চশিক্ষার পর সমমানের দেশীয় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়।

– ক্যারিয়ারমুখী না হওয়া: পড়ালেখা ও দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা নিতান্তই কম সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে। জব ইন্টারভিউতে এসে অনেকেই জানেনা কি জবের জন্য ইন্টারভিউ দিতে এসেছে।

– ফ্রিল্যান্সিং / স্টার্টআপ তৈরী / জব – কোনটা করবে এটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকা এবং সর্বোপরি কোনোটাতেই ভালো অবস্থান তৈরী না করা।

– টেকনোলজি জ্ঞান কম: যে কোনো সাবজেক্ট থেকেই আসুক টেকনোলজি জ্ঞান অবধারিত সেটা এখনো আমাদের প্রফেশনালরা বুজে উঠতে পারেনি।

পরিশেষে, সফটওয়্যার ব্যবসা কঠিনতম ব্যবসারগুলোর মধ্যে অন্যতম কিন্তু যাদের প্লান, ইনভেস্টমেন্ট, আর্কিটেকচার ভালো তাদের জন্য একটা পর্যায়ে গিয়ে অনেকখানি সহজতর হয়ে উঠে।

সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রাখা ও উন্নয়নের জন্য এই বাধাগুলো পেরিয়ে যেতে সর্বস্তরের সহায়তা জরুরি।

মেহরাব হোসেন মেহেদী
ব্যবস্থাপনা পরিচালক-
গ্রেট এন্ড স্মার্ট টেকনোলজি লিমিটেড

আপনার মতামত লিখুন :