আজ আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী

ছোট বেলায় আমার পরিবারে বিয়ে, জন্মদিন পালনের কোন রেওয়াজ ছিলোনা। এর একটা প্রধান কারণ মনে হয় আমরা ছিলাম মধ্যবিত্ত পরিবার। বাবা ছিলেন গ্রামের প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক। তখনকারদিনে প্রাইমারী স্কুলের একজন শিক্ষকের বেতনই বা কত ছিলো। আমরা চার ভাই বোন। এই চারভাইবোনকে লেখাপড়া, ভরনপোষণ ও সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সম্পদবৃদ্ধি করতে গিয়েই আমার বাবা হিমশিম খেয়ে যেতেন। আবার জন্মদিন! আবার বিবাহ বার্ষিকী! আমার বাবা মায়ের বিবাহের তারিখ আমি এখনও জানিনা।
অর্থাৎ এইসব আমাদের পরিবারের কালচারের মধ্যে ছিলোনা। বিয়ের পর স্ত্রীর গুতাগুতিতে এখন এইসব দিন তারিখ মনে রাখার চেষ্টা করি।
কিন্তু দীর্ঘদিনের কুঅভ্যাসের কারণে বিশেষ দিনগুলো আসার আগের দিনেই তারিখটি ভুলে যাই। আমার স্ত্রী যখন বিশেষ দিনটির কথা মনে করিয়ে দেয় তখন কৃত্রিম লজ্জায় আমি মাথা নিচু করে থাকি। আজ আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী। আমি যথারীতি ভুলে গিয়েছিলাম। আমার ছোট ভাই-বোন গতকাল মনে করিয়ে দিয়েছে আগামীকাল আমাদের বিবাহ বার্ষিকী।
লেখাটা লিখতে পারতাম আমাদের দুজনার অনেক কিছু নিয়ে। কিন্তু এক বছরের কথা কি মাত্র একটা লেখায় লেখা সম্ভব?
আমরা আনন্দ, বেদনায়, মিলনে, বিরহে, সুখে, দুঃখে চমৎকার আছি। সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।