ইয়াবাসহ আটক নারী ক্রিকেটার

GS News 24GS News 24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:২৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টারঃ>>>

চট্টগ্রাম নগরীতে পৃথক দুটি অভিযানে বাকলিয়া থানা পুলিশ ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন এক নারী ক্রিকেটার। ১৪ হাজার ইয়াবাসহ তাকে গতকাল সকালে গ্রেফতার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।

বিকেলে নগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার ইয়াবাসহ একটি কাভার্ড ভ্যান আটক ও এর চালককে গ্রেফতার করে। কাভার্ড ভ্যানটির মালিক টেকনাফের এক মহিলা কাউন্সিলর ও তার পরিবার বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়া নারী ক্রিকেটারের নাম নাজবীন খান মুক্তা (২৩)। তিনি কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন। শাহ আমানত সেতুর গোলচত্বর এলাকা থেকে মুক্তাকে আটক করে পুলিশ। মুক্তা ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ি গ্রামের আবুল খায়ের কাজলের মেয়ে। বর্তমানে ঢাকার সেগুনবাগিচায় তাদের বাসা।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ইয়াবার চালান আসার খবরে তারা গ্রিন লাইনের ওই বাসে তল্লাশি চালান। মুক্তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে সেখানে ১৪ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে মুক্তা জানিয়েছেন, আগেও কয়েকবার তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে গেছেন।

কক্সবাজারের নাহিদ নামে এক যুবকের কাছ থেকে মুক্তা নিয়মিত ইয়াবা সংগ্রহ করেন। ঢাকায় রিপন নামে আরেক যুবকের মাধ্যমে তিনি ইয়াবাগুলো বিক্রি করেন। এছাড়া নিয়মিত বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মিলে তিনি ইয়াবা সেবনও করেন। মুক্তা ঢাকায় লিগ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলে বলেও পুলিশকে জানিয়েছে।

এদিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অপর একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের (ঢাকামেট্রো ট– ১৩ –৫৬৮৬) গতিরোধ করে। পরে সেটিতে তল্লাশি চালিয়ে ২৫ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

এসময় চালক আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযান প্রসঙ্গে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মো: আজাহার বলেন, আনোয়ার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমাদের জানিয়েছে কাভার্ড ভ্যানটির মালিক টেকনাফের এক মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের শ্বশুর। ওই ব্যক্তি, তার ছেলে, ছেলের বউ সকলেই ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। আটক চালক আনোয়ার আরও জানান, ওই মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর বর্তমানে ঢাকা আছেন।

আনোয়ারকে বলা হয়েছে, চালানটি নিয়ে কেরানীগঞ্জ যেতে। সেখানে ওই মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর চালানটি বুঝে নিয়ে ঢাকার পার্টিকে দেবে। এ সংক্রান্ত মামলায় এদের সকলকেই আসামী করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :