প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বামীর বিচার চাইলেন রিফাতের স্ত্রী

সন্ত্রাসীরা কোপাচ্ছিল আর সেই খুনিদের দুই হাতে জাপটে ধরে স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন স্ত্রী। চিৎকার করে অন্যদের সাহায্য চাচ্ছিলেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি আয়েশা আক্তার মিন্নি। সেই ভয়াল স্মৃতির বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
আয়েশা আক্তার মিন্নি বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে স্বামী রিফাত শরীফের সঙ্গে বরগুনা কলেজে আসি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেই আমরা। এসময় বরগুনার কলেজ সড়কের ক্যালিক্স কিন্ডার গার্টেনের সামনে বেশ কয়েকজন যুবক আমাদের গতিরোধ করে। সেই সঙ্গে রিফাত শরীফকে মারধর শুরু করে তারা। এর মধ্যেই চাপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী।’
তিনি আরো বলেন, ‘এরপরই রিফাত শরীফকে নির্মমভাবে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী। আমি তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছুতেই তাদের থামাতে পারিনি।’
ভিডিওতে যাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে মূলত তারাই প্রথমে রিফাত শরীফ ও তার পথ আটকে দিয়েছিল বলে জানান আয়েশা আক্তার মিন্নি।
এসময় কাঁদতে কাঁদতে মিন্নি বলেন, ‘আমি আমার স্বামীর বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি বিচারের দাবি করছি। প্রধানমন্ত্রী নারী আমিও নারী আশা করি তিনি এর বিচার করবেন।’
নিহত রিফাতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা মা মোসা. ডেইজি আক্তার। থেকে থেকে আহাজারি করছেন তিনি।
রিফাতের প্রতিবেশী হালিম বলেন, ‘এলাকায় ভদ্র ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন রিফাত। তাঁকে যেভাবে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা দুঃখজনক। আমরা এর বিচার চাই।’
’
জিএসনিউজ/এমএইচএম/এএওয়াই