লকডাউনে বেড়েছে নারীর প্রতি সহিংসতা

নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) দুর্যোগের মধ্যেও দেশে বেড়েছে নারীর প্রতি সহিংসতা। গত মাসে সারা দেশে ৪২৪৯ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর ঘটেছে হত্যা ও ধর্ষণের মতো অপরাধও। এই পরিস্থিতিতে এসব অপরাধীদের বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চালাতে ভার্চুয়াল কোর্ট অর্ডিন্যান্স চালুর পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা।
রোমেনা আহমেদের বয়স ২২ বছর। করোনা লকডাউনের গৃহবন্দী সময়ে দুই বছর বয়সী সন্তানের ওই মায়ের উপর বেড়েছে স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। বাড়িভাড়াসহ পরিবারের সব খরচ দেয়ার দাবিতে নির্যাতন করা হয় এই গৃহবধূকে। এমনকি শিশু সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের জরিপ অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৪ হাজার ২৪৯ জন নারী এবং ৪৫৬ জন শিশু। এর মধ্যে স্বামীর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮৪৮ জন, মানসিক নির্যাতনের শিকার ২০০৮ জন, যৌন নির্যাতনের শিকার ৮৫ জন। ধর্ষণ করা হয়েছে ৪ জনকে, হত্যা করা হয়েছে ১ জনকে এবং যৌন হয়রানি করা হয়েছে ২০ জনকে।
তাই আইনজীবীরা বলছেন, আগের অপরাধের বিচার না হওয়ার কারণেই পুনরাবৃত্তি ঘটছে এসব অপরাধের। আর লকডাউনে সব কিছু বন্ধ থাকায় এধরনের অপরাধ ঠেকাতে আগের মতো তৎপর হওয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
শুধু বাংলাদেশই নয় করোনার লকডাউনে বিশ্বজুড়েই বেড়েছে নারীর প্রতি সহিংসতা। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশে লকডাউনের ৩ মাসে পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে ২০ শতাংশ।
জিএসনিউজ/এমএইচএম/এএএন