ছাত্রীকে ধষর্নের দায় স্বীকার করলেন প্রধান শিক্ষক
ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধষর্নের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন ধর্ষনে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল করিম খান বাহাদুর।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এ এস এম এমরান এর আদালতে তিনি এ দায় স্বীকার করেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওমি) মো. সালেহ আহম্মদ পাঠান ও আদালত সুত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল করিম খান বাহাদুরকে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এ এস এম এমরানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই স্কুল ছাত্রীকে গত কিছু দিনে একাধিকবার ধর্ষনের কথা স্বীকার করেন। ওই ছাত্রী যেন তার পরিবার বা অন্য কাউকে বিষয়টি না জানায়- সেজন্য তিনি ওই ছাত্রীকে নানা ভাবে হুমকিধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছিলেন বলেও আদালতকে জানায়।
ওসি জানায়, গত ৭ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থী একই আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন প্রদান করে তার সাথে প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক কাজের বর্ণনা দেয়। গত শনিবার ও রোববার ফেনী সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারিরীক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আবু তাহের জানান, গত শনিবার ও রোববার দুই দিনে ওই স্কুল ছাত্রীর শারিরীক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
ওসি জানায়, ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় ৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ৫ এপ্রিল তাঁকে (শিক্ষক) আদালতে পাঠিয়ে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আদালতে আবেদন জানায়। ৭ এপ্রিল রিমান্ড বিষয়ে শুনানী শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক আবদুল করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই ছাত্রীর সাথে অনৈততিক কাজ করার কথা স্বীকার করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই প্রধান শিক্ষককে আদালতে হাজির করা হলে তিনি আদালতের হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদানের মাধ্যমে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজ করা কথা স্বীকার করেন।
এরপর আদালত থেকে প্রধান শিক্ষক আবদুল করিমকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
গত ৫ এপিল ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় তার বড় বোন বাদি হয়ে দাগনভূঁঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই



