নুসরাত হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে নুর উদ্দিন : পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদকনিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০২:০০ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৯
গ্রেফতারকৃত নুর উদ্দিন ও অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। ছবি : সংগৃহীত

কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে (১৮) হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত নুর উদ্দিন বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া স্বীকারোক্তিতে সে জানিয়েছে, আলেম সমাজকে অপদস্থ করার ‘শাস্তি’ হিসেবে নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত নেয় প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নূর উদ্দিনসহ অন্যরা।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির ৪ নম্বর রোডস্থ পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই জানায়, নুসরাত হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত। কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যায় যুক্ত ছিল তিন ছাত্র ও দুই ছাত্রী।

নূর উদ্দিন আরও জানায়, এলাকায় সিরাজ উদ দৌলা বাহিনী অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় পুড়িয়ে মারার ঘটনা সামাল দিতে পারবে এমন বিশ্বাস ছিল তাদের।

এছাড়া এজহারভুক্ত নয়জন আসামির মধ্যে আটজন গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পিবিআই।

প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। সেদিন নুসরাতকে পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাদে নিয়ে বোরখাপরা ৪ জন তাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

সংকটজনক অবস্থায় ওই দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পাঁচদিন পর গত বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এ ঘটনায় গত সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে অধ্যক্ষ ও পৌর কাউন্সিলরসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। মামলা নম্বর ১০। এ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার ঘনিষ্ঠজন জাবেদ ও নুর উদ্দিনসহ ১২ জনকে গ্রেফতার হয়েছে।

জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই

আপনার মতামত লিখুন :