নুসরাত হত্যায় জড়িত সন্দেহে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছাত্রী আটক

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে পুড়িয়ে হত্যায় জড়িত সন্দেহে জান্নাতুল আফরোজ নামে এক ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে আলিম পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীকে আটক করে পিবিআই।
সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার কেন্দ্রসচিব নুরুল আফসার ফারুকী মনিকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কামরুন নাহারের বাবার নাম ছালেহ আহাম্মদ ও জান্নাতুল আফরোজের বাবার নাম আবদুল আজিজ বলে জানা গেছে।
নুসরাত হত্যার ঘটনায় এই মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত সাতজন আসামি রয়েছেন।
আলোচিত এ মামলা এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
এদের মধ্যে ওই অধ্যক্ষ এসএম সিরাজউদ্দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবসার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, কামরুন নাহার ও জান্নাতুল আফরোজ।
তাদের মধ্যে মামলার এজহারভুক্ত আটজনের মধ্যে সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। হাফেজ আবদুল কাদের নামে এজহারভুক্ত আরও এক আসামিকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে রোববার রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম।
জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার নির্দেশে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পিবিআই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিদের আটক করেছে।
এর আগে টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১০ এপ্রিল বুধবার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি।
পর দিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকালে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই