নুসরাত হত্যাঃ সোনাগাজী উপজেলা আ. লীগ সভাপতি আটক

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে তাকে সোনাগাজীর তাকিয়া বাজার থেকে আটক করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনেভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল। বিষয়টি জিএসনিউজকে নিশ্চিত করেছেন পিবিআই’র এএসপি মনিরুজ্জামান।
সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটিরও সহসভাপতি ছিলেন।
নুসরাত হত্যা মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রুহুল আমিনের নাম উঠে আসে।
এই মামলায় অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায় যে নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার পর সে রুহুল আমিনকে ফোন করেছিলো এবং রুহুল আমি সেসময় তাকে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে যান নুসরাত। তিনি এই মাদ্রাসার এবারের আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। এর আগে ২৭ মার্চ মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার হাতে যৌন হয়রানির শিকার হন নুসরাত। এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষ নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে। নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন নুসরাত। এর জের ধরেই তাকে ডেকে নিয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ৮০ শতাংশ পোড়া শরীর নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঁচ দিন লড়ার পর মারা যান নুসরাত।
নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। এ পর্যন্ত অধ্যক্ষ সিরাজ, মাদ্রাসাছাত্র নুর উদ্দিন, শাহাদাত, জোবায়ের আহম্মেদ, জাবেদ হোসেন, মাদ্রাসাছাত্রী উম্মে সুলতানা পপি এবং সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলমসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত সাতজন আসামি। তাদের মধ্যে নুর উদ্দিন ও শাহাদাত রোববার রাতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই