হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা

ফেনী প্রতিনিধিফেনী প্রতিনিধি
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:১৭ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২০

হাইকোটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুলিশের সহয়তায় ফেনীর দাগনভূঞার কৈখালী মৌজায় ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলী জমির মাটি কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা। জমির মালিক পুলিশের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলে তাকে থানায় আটক করে রেখে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার জড়ানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সোমবার (১৩ জানুয়ারী) ফেনী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ নুরুল হক।

ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগে বলেন, দাগনভূঞা উপজেলার কৈখালী মৌজায় তার মালিকীয় বি,এস ২৯১ ও ৩০১ দাগে মোট ৪১ শতাংশ জমি নিয়ে একই গ্রামের ছেরাজুল হক, মোঃ ইসমাইল ও আব্দুল হকের সঙ্গে আদালতে মামলা চলছে। মামলাটি বিচার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরণের শ্রেনী পরিবর্তন না করতে হাইকোটের নিষেধাজ্ঞা আদেশ থাকা সত্বেও উল্লেখিত প্রতিপক্ষ গত ২৭ ডিসেম্বর ভেকু মেশিন দিয়ে জমির মাটি কাটা শুরু করে। এতে তিনি বাঁধা দিতে গেলে তাঁকে ছেরাজুল হক, মোঃ ইসমাইল ও আব্দুল হক সহ প্রভাবশালীরা মারধরের চেষ্টা করে। এই নিয়ে একই দিন তিনি দাগনভূঞা থানায় (এসডিআর নং ১০৯১) লিখিত অভিযোগ দেন। পরবর্তিতে এই নিয়ে গত ৯ জানুয়ারী সকালে স্থানীয় কোরেশমুন্সী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোজাম্মেল হক উভয় পক্ষ নিয়ে বৈঠক বসেন।

বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তাকে উচ্চ আদালতের আদেশ দেখালেও উনি মাটি কাটা বন্ধ রাখার বিষয় তাদেরকে কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা করেনি। উপরন্ত তাকে আটক করে একজন পুলিশ কনষ্টেবলের সঙ্গে দিয়ে সিএনজি আটো রিকসা করে দাগনভূঞা থানায় পাঠিয়ে দেয় এবং উক্ত থানার ডিউটির অফিসারের কক্ষে দু’ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়। এই সময় থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলী জমির মাটি কেটে ৭/৮ ফুট গভীর করে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন।

নুরুল হক অভিযোগে আরো বলেন, দাগনভূঞা থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে দু’ঘন্টার অধিক সময় পুলিশ প্রহরায় তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়। এই সময় ওসি আসলাম শিকদার তাকে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করে হয়রানী করে। এর পর স্থানীয় দু’ব্যাক্তির জিন্মায় তাকে ছেড়ে দেয়।

কোরেশমুন্সী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোজাম্মেল হক ভূক্তভোগীকে আটকের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ওসির নির্দেশে ভুক্তভোগীকে থানায় একজন এএসআইয়ের সঙ্গে থানায় যেতে বলা হয়েছে। বৈঠকের পর বাদীর জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমার কাছে কোন অভিযোগ করেননি।

এই ব্যাপারে দাগনভূঞা থানার ওসি আসলাম শিকদার বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশটি বাদী নুরুল হক দেখালেও এই ব্যাপারে আদালত থানা পুলিশকে কোন অনুলিপি না দেওয়া পুলিশ কোন প্রদক্ষেপ নিতে পারিনি। তিনি ভুক্তভোগীকে আদালতে যেতে পরমর্শ দেন।

আপনার মতামত লিখুন :