ফেনীতে ৬৬ বাড়ি লকডাউন

স্টাফ রিপোর্টারস্টাফ রিপোর্টার
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৭:৩৫ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ফেনীর ৬টি উপজেলার ৬৬টি বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যক্তিদের বাড়িই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লকডাউন করা হয়েছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য মনিটরিং করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘মানুষ গ্রামে ছুটে আসায় ফেনী করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চললে ঝুঁকি কেটে যাবে।’

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, লকডাউন অমান্য করে ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর, লেমুয়া ও ছনুয়া ইউনিয়নে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আসা ৭টি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। মোটবী ইউনিয়নের বাঘাইয়া গ্রাম ও মোটবী গ্রামের দুই বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ফুলগাজী উপজেলার জয়পুর, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া, মনতলা, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ফতেহপুর, উত্তর জাম্বুরা গ্রাম, জিএমহাট ইউনিয়নের শ্রীচন্দ্রপুর, দরবারপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুরে ৯ বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে মনিটরিংয়ে রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।

সোনাগাজী উপজেলার চরকৃষ্ণজয় গ্রামের গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে একজন, পশ্চিম আহম্মদপুরে তিন জন নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসায় তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ও মতিগঞ্জ ইউপির স্বরাজপুর, ভাদাদিয়া ও ভোয়াগ এলাকায় গ্রামীণ সড়কে বাঁশ বেঁধে ও গাছ ফেলে স্বেচ্ছায় লকডাউন করেছে এলাকাবাসী।

এদিকে, দাগনভূঞা উপজেলার দক্ষিণ আলীপুরের একটি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। একই উপজেলা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দোস্ত মোহাম্মদ ভূঞা বাড়ির এক পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে।

পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নে ১৭টি ও চিথলিয়া ইউনিয়নে ৯টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

অপরদিকে ছাগলনাইয়ার মোকামিয়া, পূর্ব কাশিপুর, নিজপানুয়া, জয়নগর, মধ্যম শিলুয়া, পৌরসভার পূর্ব ছাগলনাইয়াসহ ১৬টি বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে, এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় প্রবেশ না করতে কঠোর সতর্কতাসহ নানা নির্দেশনা দিয়েছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘যারা ঢাকা কিংবা নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গোপনে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন, তাদের খোঁজ পাওয়া মাত্রই পৃথকভাবে রাখার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।’

জিএসনিউজ/এমএইচএম/এএএন

আপনার মতামত লিখুন :