কুঠিরহাটে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সোনাগাজী উপজেলার কুঠিরহাট বাজারে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে চরগোপালগাঁও গ্রামের মোতাহার হোসেনের ছেলে ভুক্তভোগী আইনুর হোসেন মিরাজ।
২৬ জুলাই শনিবার সন্ধায় কুঠিরহাট বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, বিষ্ণপুর মৌজার সি.এস. খতিয়ান নং- ৭৪ ও এস.এ. খতিয়ান নং- ১১৪ এর দাগ নং- ৯১৩, ৯১৪ এবং বি.এস খতিয়ান নং-৪৫৩ এর দাগ নং-১৬৪০ দাগে ০৫ (পাঁচ) শতক জমি আমার পিতা মোতাহার হোসেন সাফকবলা দলিলমূলে ক্রয় করেছেন যার উত্তরাধিকার সূত্রে বর্তমান মালিক আমি ও আমার দুই বোন। আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি হিসাবের নিমিত্ত উক্ত জমি পরিমাপ পূর্বক সীমানা নির্ধারন কর প্রয়োজন।
কিং উক্ত জমির উত্তরপার্শ্ববর্তী জমির মালিকগন (শহীদ ও সোহাগ গং), যারা সম্পর্কে আমার আপন ফুফা তা ভাই, জমির পরিমাপের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে আসছেন। উনারা আমার আত্মীয় হন বিধায় আম। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার্থে উনাদের সাথে সরাসরি কোন বিরোধ-সংঘাতে লিপ্ত না হয়ে বিভিন্ন সমান চেয়ারম্যান মহোদয়সহ সমাজের অপরাপর গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মাধ্যমে এই বিরোধ নিষ্পত্তি কর র প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনামত একাধিকবার পরিমাপের উদ্যোগ নিলেও উনাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অসহযোগিতা ও হুমকি-ধামকিতে তা কখনোই সংব হয়নি। পরিমাপের সময় স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ ও আমার মায়ের উপস্থিতিতে আমার হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার মত হমকিও তারা দিয়েছেন, ফলে আমি শংকিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার পিতা জীবিত থাকাকালে এই জমির সীমানা পরিমাপ নিয়ে তাদের দ্বারা চরম দুর্ব্যবহারের শিকার হন।
গত ১৩/০৪/২০২৫ ইং তারিখে কুঠিরহাট বাজার বণিক সমিতি বরাবর এবং ০৩/০৫/২০২৫ ইং তারিখে কুটি।হাট বাজার ইজারাদার কমিটি বরাবর আবেদন করি, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদী গনের মধ্যে ২নং বিবাদী শেখ আবদুল্লাহ (সোহাগ)কে উক্ত শালীসের সমন্বকারী জনাব আবুল কালাম বিবাদী গনের বাড়ীং ও যাইয়া আবেদনের বিষয় ২নং বিবাদীর সাথে আলোচনা করেন এবং নির্দিষ্ট ১২/০৬/২০২৫ ইং তারিখে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেন কিন্তু বিবাদীগন বা তাদের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত হন। নাই।
আম র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কুঠিরহাট বাজার কমিটি ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মামার মালিকানার কাগজপত্র পর্যালোচনা করা হয় এবং মালিকানার সঠিকতা পাওয়া যায়। যেহেতু বিব দীগণ তাদের মালিকানা পক্ষে কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করেন নাই এবং কোন আপত্তিও করেন নাই ‘বদায় শালিসী সিদ্ধান্ত মতে কাগজপত্র পর্যালোচনা পূর্বক আমাকে অভিজ্ঞ আমিন দ্বারা পরিমাপ কা য়া সিমানা খুঁটি দিয়া জমি বুজিয়ে দেওয়া হয়।
নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী ২৭/০৬/২০২৫ তারিখে দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে শহিদ, সোহাগ, শামীম গং কাজে বাধা প্রদান করে, পরবর্তীতে বাজার কমিটি সহ আলোচনা পূর্বক তারা দুইজন আইনজীবী দ্বারা শালিস মিমাংসা করার জন্য অনুরোধ করেন ও দুই সপ্তাহ সময় প্রার্থনা করেন। বাজার কর্তৃপক্ষ একসপ্তাহ সময় প্রদান করেন, একসপ্তাহের মধ্যে তাদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায় নাই।
পরবর্তীতে ০৪/০৭/২০২৫ তারিখে পুণরায় কাজ শুরু করতে গেলে আবার বাধা প্রদান করে এবং বাজার কমিটি সহ আবার বসে দুই সপ্তাহ সময় চায়, এবং দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয়। কিন্তু তারা আইনজীবীর ব্যবস্থা না করে বিগত ০৭/০৭/২০২৫ তারিখে আমি ও আমার বৃদ্ধ মাতাকে বিবাদী করে ১৪৫ ধারা মামলা দায়ের করে।
মামলায় নালিশি সম্পত্তি হিসেবে সি.এস. ৯১৩ ও ৯১৪ দাগে ও এস.এ. খতিয়ান নং- ১১৪ এর দাগ নং- ৯১৩, ৯১৪ দাগ এবং বিএস ২৬০ নম্বর খতিয়ান ১৬৩৬ ও ১৬৩৭ দাগের ৩২ ডিসিম সম্পত্তি উল্লেখ করে। কিন্তু বাস্তবে ২৬০ নম্বর খতিয়ানে উক্ত দাগে বিরোধী পক্ষের ২৪ ডিসিম সম্পত্তি রয়েছে।
আমাদের খতিয়ান নম্বর ৪৫৩ ও দাগ নম্বর ১৬৪০ যা উনাদের দাগ ও খতিয়ান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এক্ষেত্রে ১৬৪০ দাগে আমার সিমানা দেয়াল তৈরীতে কোন বাধা থাকার কথা নয়। কিন্তু বিরোধী পক্ষ জোর পূর্বক স্থানীয় লোকজন ও ০৫ই আগস্ট পূর্ববর্তী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমার মিস্ত্রিদেরকে কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে, পূর্বেও তারা এইধরনের আচরণ করেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সোস্যাল মিড়িয়ায় কোনরকম তথ্য প্রমাণ প্রদর্শন ছাড়াই মিথ্যা ও বানোয়াড় তথ্যের ভিত্তিতে অপপ্রচার চালান যা আমার ও আমার পরিবারের জন্য সম্মানহানি কর।
আমরা আমাদের দলিল পত্র অনুযায়ী উক্ত জমির বৈধ মালিক ও দখলদার। আমাদের সকল প্রকার কাগজপত্রের ভিত্তিতে আমাদের জমির সীমানা নির্মাণ করা জন্য স্থানীয়, উপজেলা, জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।