পরিচ্ছন্ন লস্করহাট নিয়ে সক্রিয় রাশেদ

পেশায় পুরোদস্তুর সাংবাদিক। দির্ঘদিন ধরে কাজ করছেন একাধিক গণমাধ্যমে। জেলা প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত আছেন দৈনিক ‘দেশ রুপান্তর’ ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘জাগোনিউজে’। গত কয়েক বছর ধরে সম্পাদক হিসেবে চালাচ্ছেন নিজস্ব নিউজ পোর্টাল ‘নতুনফেনী’। কিন্তু এবার ভিন্নরুপে আবির্ভুত হলেন রাশেদুল হাসান।
গত এক মাস ধরে এলাকার বন্ধু-স্বজন আর অনুজ স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে নিয়ে ‘পরিচ্ছন্ন লস্করহাট’ গড়তে কাজ করছেন তিনি। শুরু থেকে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করাসহ মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করছেন তারা। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন বিষয়েও সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। একইসাথে নিয়মিতভাবে নানা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ-প্রতিবেদনও পরিবশেন করে চলেছেন নিজ গণমাধ্যমে। ফেনী সদরের মোটবী ইউনিয়নের লস্করহাটসহ আশপাশের এলাকার মসজিদ-মাদরাসাতেও তারা চালান পরিচ্ছন্নতা অভিযান। সম্প্রতি লস্করহাট বাজারে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতের জন্য দোকান-পাটের সামনে সাদা রঙ দিয়ে বৃত্ত অংকন করা হয়। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ এলএলবিসহ ব্যাবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা রাশেদ ও তার সহযোগিদের কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন।
ফেনী সদরের মোটবী ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রামে রাশেদুল হাসানের পৈত্রিক নিবাস। বাবা মরহুম ইকবাল হোসেন, মা বিবি ফাতেমা। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে সমাজকর্মে এমএস করেন এবং বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজে পড়াশোনা করছেন। তিন ভাই, তিন বোনের মাঝে রাশেদ চতুর্থ।
রাশেদ জানান, ছোটবেলা থেকেই এ ধরণের নানা কাজে সাধ্যমত সময় দিতেন তিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব সামাজিক তৎপরতা আরো বৃহৎ পরিসরে করার চেষ্টা করছেন তারা। ভবিষ্যতে পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে তার। তিনি বলেন, ‘সোসাইটি ফর হিউম্যানিটি’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এসব কাজ করছেন তারা। আরো সময় নিয়ে গুছিয়ে এ সংগঠনের কর্মকান্ড শুরু করবার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতির ফলে অনেকটা আগেই তা শুরু করতে হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এই সংগঠনের তৎপরতা আরো ছড়িয়ে দেবার ইচ্ছে রয়েছে রাশেদের।
তিনি জানান, গত এক মাস ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জীবানুনাশক স্প্রে করা, লিফলেট বিলি ইত্যাদি কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে। সংগঠনের কর্মীরা হ্যান্ডমাইক নিয়ে বিভিন্ন স্থানে লোকজনকে সচেতন করতে ক্যাম্পেইন করছেন। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব দেখে বিভিন্ন এলাকার অনেকেই এখন এসব কাজে এগিয়ে আসছেন। লস্করহাট ছাড়াও মোটবী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নানা কাজে যুক্ত রয়েছেন ফয়সল পাটোয়ারি, আবু ইফসুফ জনি, দিদারুল আলম সোহাগ, সুমন ফরায়েজী, কায়সার মাহমুদ, জাহিদুল হক অনিক ভুঁইয়া, কাওসার হামিদ, শরিফুল ইসলাম, জিয়া, শিহাব, সাব্বির, রবিন, নিশাত পাটোয়ারিসহ সংগঠনের সদস্যরা। রাশেদ জানান, এসব কাজে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াও ব্যাংক কর্মকর্তা এমদাদুল হক, শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী, এমরানুল হক, ব্যাবসায়ী ফখরুল ইসলাম মাশুকসহ অনেকে সহযোগিতা করছেন। ভবিষ্যতে এ সংগঠনের ব্যানারে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির কল্যাণে কাজ করবেন বলে জানান রাশেদুল হাসান।