জেনে নিন ব্যথার রোগীদের কী প্রস্তুতি নিতে হবে হজের জন্য

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ>>>
আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক নর-নারীর জন্য হজ ফরজ। হজের জন্য যেমন মানসিক প্রস্তুতির দরকার তেমনি প্রয়োজন শারীরিক প্রস্তুতির। প্রত্যেক হাজী পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হজের সব করণীয় পালন করতে চান। এর জন্য শারীরিক সক্ষমতা খুব প্রয়োজন। একজন হাজী হজের সময় সুস্থ স্বাভাবিক থাকলে তার জন্য হজ খুব সহজ হয়ে যায়।
কারণ কাবা শরিফ তাওয়াফ, সাফা-মারওয়া গমন এবং মদিনার আরাফায় রাত যাপন শেষে মুজদালিফা হয়ে মিনায় হেঁটেই যেতে হয়। এ ছাড়া জামারাতে শয়তানের দিকে পাথর নিক্ষেপের কাজটিও হেঁটেই করতে হয়। এ জন্য হাজীদের প্রায় পুরো হজের সময়েই শারীরিক পরীক্ষা দিতে হয়।
ব্যথার রোগীদের কী প্রস্তুতি নিতে হবে :
যেসব হজযাত্রী তীব্র কোমর হাঁটু বা পায়ের গোড়ালি ব্যথায় ভুগছেন তারা দিনে ২-৩ বার ফিজিওথেরাপি নিয়ে দ্রুত ব্যথা কমানোর চেষ্টা করুন। ব্যথা কমে গেলে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ প্রদর্শিত ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করবেন। হজরত অবস্থায়ও ব্যায়াম করা থেকে বিরত হবেন না। এতে আপনি মানসিক ও শারীরিকভাবে উৎফুল্ল থাকবেন। যাদের ব্যথা তীব্রতর তারা হাঁটু ব্যথার জন্য নী-ক্যাপ ও কোমর ব্যথার জন্য লাম্বার কর্সেট বা কোমরের বেল্ট সঙ্গে নিতে পারেন। পায়ের গোড়ালি ব্যথার রোগীরা হিল কুশন ও বিশেষ ধরনের নরম জুতা ব্যবহার করবেন। যাদের গরম সেঁক ভালো লাগে তারা হট ওয়াটার ব্যাগ সঙ্গে রাখতে পারেন।
সাময়িক তীব্র ব্যথা কমাতে এসিক্লোফেনাক জাতীয় ব্যথার ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সঙ্গে রাখতে পারেন। ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের রোগীরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন। ডায়াবেটিস রোগীরা ব্যথার ওষুধ যত কম সেবন করবেন ততই ভালো।
কী ধরনের ফিজিওথেরাপি নেবেন : কারণ নির্ণয়পূর্বক ফিজিওথেরাপি নিতে হবে। যারা দীর্ঘদীন ধরে ব্যথায় ভুগছেন তাদের ব্যথা কমানোর জন্য ইলেক্ট্রোথেরাপি নিতে হবে। থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ বা ব্যায়ামগুলো খুব ভালোভাবে শিখতে হবে এবং নিয়ম মেনে ব্যায়াম করতে হবে।
ডা. মোহাম্মদ আলী (চিফ কনসালট্যান্ট)
এইচপিআরসি, সেক্টর-৪, উত্তরা, ঢাকা।
মোবাইল ফোন : ০১৮৭২ ৫৫৫ ৪৪৪।