হার্টকে সুস্থ রাখুন

জি এস অনলাইন:>>>
মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে হৃৎপিণ্ড বা হার্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ট সুস্থ থাকলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকবে। অপ্রচলিত রোগ দিন দিন বেড়েই চলছে তার মধ্যে হৃদরোগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যা পৃথিবীর এক নম্বর মৃতু্য বিধি হিসেবে চিহ্নিত। একবার আক্রান্ত হলে অনেক সময় স্থায়ী রোগ হিসেবে বিবেচিত হয়, সারা জীবন এ মারাত্মক ব্যাধী হয় এবং অনেক মাদকদ্রব্য খাওয়া হয়।
আবার হৃদরোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষণ এবং চিকিৎসা জটিল এবং ব্যয়বহুল এবং সব জায়গায় দেশ, বিশেষ করে দূরবর্তী অঞ্চলে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধাগুলি দুর্লভ। এমনকি আক্রান্ত হলে হাসপাতালে আনা হলে রোগীর মৃত্যুমুখে পতিত হতে পারে। তাই এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ভাল।
বিভিন্ন কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা বলা হয় রিস্ক ফ্যাক্টর কিছু কিছু সহজেই নিয়ন্ত্রণযোগ্য, এবং কিছু অনিয়ন্ত্রনীয় অনিয়ন্ত্রণযোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি হল বয়স, লিঙ্গ এবং বংশগত নিয়ন্ত্রণযোগ্য রিস ফ্যাক্টর মধ্যে ধুমপান, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তের কোলেস্টেরল আধিক্য, ডায়াবেটস, মুটিয়ে যাওয়া, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি এবং আঁশজাত খাবার কম খাওয়া, মানসিক চাপ, পানিশূন্য ইত্যাদি। অবহেলা না করা নিরাময়যোগ্য রিস ফ্যাক্টর প্রতিরোধের যথাযথ ব্যবস্থা নীলি হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
প্রতিরোধের করণীয়: ধুমপান, তামাকজাত পণ্য- যেমন জর্দা, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদি, অ্যালকোহল এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্য সম্পূর্ণরূপে বর্জন করুন। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রন রাখুন
নিয়মিত হাঁটুন এবং ব্যায়াম করুন। কম চর্বি এবং কম কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার গ্রহণ করা হবে যেমন খাসি বা গরুর গোস্ট, কলিজা, মগজ, গিলা, গুর্দা কম খাওয়া হবে। বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রায়ই ফর্বিজাতীয় যেমন পোলও, বিরিয়ানি, মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকুন অধিক আঁশযুক্ত খাবার, প্রচুর শাকসব্জ এবং টাটকা ফলন অধিক করে খান। যে কোনও মাছ এমনকি সাগর মাছ খেতে ভাল।
তরকারিটি প্রয়োজনীয় লবণের বাইরে অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে যাও যাদের ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে, অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত শরীরকে যেমন সুস্থ রাখুন, তেমনি মনকেও রাখুন সুস্থ তাই মানসিক এবং শারীরিক চাপ এড়িয়ে যাও। নিয়মিত বিশ্রাম, সময় মত ঘুমানো, শরীর অতিরিক্ত টর্নেডো থেকে বিশ্রাম দেওয়া, বুদ্ধি কাজ ইত্যাদি মাধ্যমে মানসিক শান্তি উপলব্ধ এবং মন প্রফুল্ল রাখা। সুস্থ হার্ট মানেই সুস্থ মানুষ, সুস্থ জীবন আর সুশৃঙ্খল জীবনধারা হীরার সুরক্ষার মূল চাবিকাঠি