জাঙ্কফুডে আসক্ত বর্তমান প্রজন্ম

স্টাফ রিপরটারঃ>>>>
বর্তমান প্রজন্মে জাঙ্কফুড আসক্তি এখন তুঙ্গে। যার ফলাফল ওবেসিটির মতো সমস্যা গুলো। আগের দিনে বাচ্চারা খেলাধুলায় অনেক বেশী সময় ব্যয় করত কিন্তু বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে কম্পিউটার গেমস সেই সঙ্গে অধিক পড়াশোনার চাপ বাচ্চাদের খেলাধুলার সময়কে করে দিয়েছে অনেক সীমিত। ফলে বাচ্চাদের স্বাভাবিক শরীরচর্চাটুকুও হয় না ঠিকমত। পাশাপাশি নিত্যনতুন স্ন্যাক্স, বার্গার আর পিৎজার মতো লোভনীয় জাঙ্কফুড খাবারের বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি রয়েছে সর্বত্র। তাই বাচ্চাদের আকৃষ্ট হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এই কারণেই বর্তমান প্রজন্মের ওবেসিটির সঙ্গে সঙ্গে হার্টের সমস্যা, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, কিডনি ফেইলিওর এমনকি ক্যান্সাররের ঝুঁকিও নেহাত কম নয়। কিন্তু জাঙ্কফুড থেকে বাচ্চাদের পুরোপুরি বিরত রাখাও সম্ভব নয় কখনো। তাই ওদের লাইফস্টাইল এবং ডায়েটে পরিবর্তন আনা আবশ্যক।
১। আজকাল বাচ্চাদের আউটডোর অ্যাকটিভিটি প্রায় নেই বললেই চলে। তাই সাইকেল চালানো, ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, সাঁতার, স্কিপিং এগুলোর ওপর জোর দিতে হবে।
২। কালচারাল দিক অর্থাৎ নাচ, গান, ক্যারাটে এগুলোতেও বাচ্চাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এতে শরীর ও মন উভয়ই ভালো থাকবে, সেই সঙ্গে বাচ্চার স্মৃতিশক্তিও ভালো হবে।
৩। বাবা-মায়ের উচিত বাচ্চাদের এসব কাজে সময় দেয়া। এতে বাচ্চারা আরও উৎসাহিত হবে।
৪। বাচ্চারা অনুকরণপ্রিয়। বাবা-মা বা বাড়ির অন্যদের যদি হেলদি খাবার খেতে দেখে তারাও সেটা শিখবে।
৫। ফ্রিজে মিষ্টি, চকোলেট, কোল্ড ড্রিংস, পাউরম্নটি না রেখে চাপাতি, রম্নটি, ফ্রেস ফল, সবজি রাখলে ভালো।
৬। প্যাকেটের ফলের জুস না দিয়ে ফ্রেস ফলের জুস, দুধ, ডাবের পানি অনেক অনেক উপকারী বাচ্চাদের জন্য।
৭। এই ধরনের ডায়েট এবং লাইফস্টাইল বাচ্চাদের দেবে সুস্থ ও প্রাণবন্ত্ম জীবন এবং আমরা পাব একটা সুস্থ ভবিষ্যৎ।