দলীয় সভানেত্রীর যেসব নির্দেশনা নিয়ে জেলা সফরে যাচ্ছেন আ.লীগ নেতারা

সারা দেশে সাংগঠনিক সফরে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সঙ্গে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কিছু নির্দেশনা নিয়ে যাচ্ছে তারা।
আগামীকাল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত ১৫টি টিম দেশের ৬৪ জেলা সফর করবে। সফররত টিমের কেন্দ্রীয় নেতারা দলের সভাপতির এসব নির্দেশনা পৌঁছে দেবেন তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে।
ক্ষমতাসীন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দলীয় প্রধানের বেশ কিছু নির্দেশনা নিয়ে আমরা সাংগঠনিক সফরে বের হচ্ছি।’
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা বলেন, দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার যেসব নির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা তৃণমূলে যাবেন, সেগুলো হলো—দলকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করা, আগামী নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি, সকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ধ্বংসাত্মক রাজনীতিসহ নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনা ও ‘ইউনিক ক্যান্ডিডেট’দের সেই তালিকা তৈরি করা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের বেশ কয়েকজন বলেন, ‘বিভিন্ন আসনে নেতায় নেতায় কেন দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তার কারণ ও সমাধানের পথ খুঁজতে কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছেন দলের সভাপতি। একইসঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্যদের মাঝে কার কার তৃণমূল নেতাকর্মীদের দূরত্ব রয়েছে, তাও খুঁজে বের করতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এছাড়া আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ হতে পারে, এমন বেশ কিছু বিষয়ও খুঁজে বের করার নির্দেশনা রয়েছে সাংগঠনিক সফরে থাকা কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বিভিন্ন জেলা সফরের মূল বার্তা থাকবে আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য দলের সব রকমের প্রস্তুতি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের নেতিবাচক রাজনীতি জনগণের কাছে তুলে ধরা।’
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া সাংগঠনিক সফর মূলত আগামী নির্বাচন প্রস্তুতির সফর।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলের ১৫টি টিম একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগমুহূর্ত পর্যন্ত সংগঠনের জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানাপর্যায়ে সাংগঠনিক সফরে যাবে। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী সফরে যাবেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, রমেশ চন্দ্র সেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বি. এম মোজাম্মেল হকও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রংপুর, রংপুর মহানগর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় যাবেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বি.এম মোজাম্মেল হক, টিপু মুন্সী, এইচ এন আশিকুর রহমান ও ড. শাম্মী আহমেদ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, রাজশাহী মহানগর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে যাবেন মোহাম্মদ নাসিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু ও মেরিনা জাহান।
জয়পুরহাট, বগুড়া, নওগাঁ, নাটোরে লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ডা. রোকেয়া সুলতানা ও মো. মমতাজ উদ্দিন।
বাগেরহাট, খুলনা, খুলনা মহানগর, সাতক্ষীরা, যশোর ও নড়াইলে পীষুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, আব্দুর রহমান, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এস, এম কামাল হোসেন ও অ্যাডভোট আমিরুল আলম মিলন।
মাগুরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরে কাজী জাফর উল্লাহ, মাহবুবউল-আলম হানিফ এমপি, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দেলোয়ার হোসেন, এস. এম কামাল হোসেন ও পারভীন জামান কল্পনা।
বরিশাল, বরিশাল মহানগর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠিতে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, আব্দুর রহমান, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাড. আফজাল হোসেন, ড. শাম্মী আহমেদ ও অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম।
গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ীতে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ডা. দীপু মনি, আব্দুর রহমান, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আলহাজ্ব অ্যাড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, বি. এম মোজাম্মেল হক, একেএম এনামুল হক শামীম, হাবিবুর রহমান সিরাজ, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও ইকবাল হোসেন অপু।
টাঙ্গাইল, শেরপুর, জামালপুরে ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. দীপু মণি, মো. মিজবাহউদ্দিন সিরাজ, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মির্জা আজম, শামসুন নাহার চাঁপা ও মারুফা আক্তার পপি।
নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ মহানগর, কিশোরগঞ্জে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. দীপু মণি, আহমদ হোসেন, মো. মিজবাহউদ্দিন সিরাজ, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, অসীম কুমার উকিল, মো. আব্দুছ ছাত্তার ও উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং।
সিলেট, সিলেট মহানগর, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জে আবুল মাল আবদুল মুহিত, তোফায়েল আহমেদ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মাহবুবউল-আলম হানিফ, আহমদ হোসেন, মো. মেজবাউদ্দিন সিরাজ, বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, অধ্যাপক রফিকুর রহমান ও মো. গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু।
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজারে ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, ড. হাছান মাহমুদ, একেএম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দীপংকর তালুকদার, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও আমিনুল ইসলাম।
কুমিল্লা, কুমিল্লা মহানগর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুল মতিন খসরু, ডা. দীপু মনি, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, একেএম এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, র. আ. ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও অ্যাড. নজিবুল্লাহ হিরু।
নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনীতে আব্দুল মতিন খসরু, মাহবুবউল-আলম হানিফ, একেএম এনামুল হক শামীম, ফরিদুন্নাহার লাইলী ও হারুনুর রশীদ।
ঢাকা, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর, গাজীপুর, গাজীপুর মহানগর, মানিকগঞ্জে ওবায়দুল কাদের, সাহারা খাতুন, আব্দুল মান্নান খান, মোজাফফর হোসেন পল্টু, মুকুল বোস, ডা. দীপু মণি, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, নুরুল মজিদ হুমায়ুন, আখতারুজ্জামান, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মৃণাল কান্তি দাস, কামরুল ইসলাম, সিমিন হোসেন রিমি ও এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার।