আদালত প্রাঙ্গনে পৌঁছেছেন বেগম জিয়া

ঢাকা প্রতিনিধিঃ>>>
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় শুনতে আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তিনি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে পৌঁছান তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারার মধ্য দিয়ে তিনি গুলশান থেকে আদালতে আসেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসা থেকে রওনা হন। এসময় গাড়ি বহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩০টির বেশি গাড়ি ছিল। তবে খালেদার নিরাপত্তায় সিএসএফ (চেয়ারপারসন’স সিকিউরিটি ফোর্স) এর কাউকে রাখা হয়নি। ইউনিফর্মধারী সদস্যরা ছাড়াও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তার সঙ্গে ছিলেন। এই রায় উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। বকশীবাজারে বিশেষ আদালত ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন করা আছে। আইনজীবীদের আদালতে পৌঁছাতে পেরোতে হচ্ছে পাঁচটি চেকপোস্ট, এন্ট্রি করতে হচ্ছে নাম। এসময় বিএনপিপন্থী অনেক আইনজীবীই আদালতে প্রবেশ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার দুই আসামি শরফুদ্দিন আহমেদকে ৮টা ২০ মিনিটে এবং কাজী সালিমুল হক কামিলকে ৯টা ১০ মিনিটে আদালতে নেওয়া হয়েছে। আদালতে বিচারক প্রবেশের আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আব্দুর রেজ্জাক খানসহ বেশকিছু বিএনপিপন্থী আইনজীবী, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল, ঢাকা মহানগরের পিপি আবু আবদুল্লাহসহ আরও কিছু আইনজীবী সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা ১০ মিনিটের মধ্যে আদালতে প্রবেশ করেন। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে পৌঁছান। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা কুয়েত থেকে এতিমদের জন্য পাঠানো দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক। ওই বছরই ৪ জুলাই মামলাটি গ্রহণ করেন আদালত। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন। মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্যসচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। মামলার ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়া জামিনে রয়েছেন।