সোনাগাজী ছাত্রলীগের সভাপতিকে পিটালো সাধারণ সম্পাদক || সড়ক অবরোধ

ফেনী প্রতিনিধিঃ>>>
ফেনীর সোনাগাজীতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের বিবাদমান দু’গ্রপের সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও পুলিশ সহ ১২জন আহত হয়েছে।
আহতরা হচ্ছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোবালেব চৌধুরী রবিন, সোনাগাজী মডেল থানার এসআই সেলিম জামান সরকার, এএসআই আবদুর রহিম, যুবলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন শাহীন, আবদুল হালিম সোহেল, সোনাগাজী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নেয়ামত উল্যাহ, মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মীর এমরান, শিমুল মিয়াজী, একরাম হোসেন, চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হৃদয়, সাইমন ও শাহীন আলম।
আহতদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী রবিনকে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্যরা সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে।
লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননার প্রতিবাদে সোনাগজীতে আয়োজিত ছাত্রলীগের মিছিল শেষে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সোনাগাজী আ’লীগ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শীরা ও দলীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী রবিন ও সাধারন সম্পাদক ইফতেখার হোসেন খোন্দকারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননার প্রতিবাদে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যেগে একটি মিছিল নিয়ে সোনাগাজী বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আ’লীগ কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করা হয়। সভা শেষে সভাপতি রবিন সমর্থীত সাইমনের সাথে সাধারন সম্পাদক ইফতেখার সমর্থীত চৌধুরীর সাথে কথাকাটাকাটি শুরু হলে সংঘর্ষে বেধে যায়।
পরে রবিন সমর্থকেরা দুপুর ১টার দিকে ফেনী-সোনাগাজী সড়কের ডাকবাংলায় এক ঘন্টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে।
ঘটনার জন্য উপজেলা সাধারন সম্পাদক ইফতেখার হোসেন খোন্দকার কে দায়ী করে অভিযোগ করেন। কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক টুটুল পাটোয়ারী, হোনা মিয়া, চৌধুরী সহ একদল ছাত্রলীগ কর্মী রবিন ও তার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হিরন জানান, তিনি সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তবে কি কারণে সংঘর্ষ হয়েছে তিনি জানেননা।