জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে খালেদা জিয়ার

জিএস ডেস্ক:>>>
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন শুনানি শুরু তার সাথে তার জামিন মেয়াদ বৃদ্ধি হবে
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো। ইনায়েতুতুর রহিম ও বিচারপতি মো। মোস্তফিজুর রহমানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ শুনানির শুরু হয়েছে। খালেদা জিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে কোর্ট আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত জামিন বর্ধিত হবে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান এ বিষয়ে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি আদালতে মামলা এফআইআর থেকে উদ্ধৃত কোর্ট বলেছিলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট থেকে অর্থ বরাদ্দ করার জন্য যে সব ডকুমেন্ট আছে তার কোনও খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর নেই। এই মামলায় তার কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই।
এরপর খালেদা জিয়ার তার আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী মামলার পেপারবুক থেকে পড়া শুরু করেন।
দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত শুনানির শেষে কোর্ট আগামী রবিবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি ঘোষণা করা হবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশেষ জজ কোর্ট -৫ খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২0 ফেব্রুয়ারি আপিল আবেদন (১৬৭৬/২০১৮) দাখিল করা খালেদা জিয়া এ আপিল গত ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রহণ হাই কোর্ট। নিম্ন আদালতের দেওয়া জরিমানা রায় স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়ার চার মাসের জামিন দেয় হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন কালিমা লেপন জন্য জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা
হাবিবুর রহমান, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু প্রবীণ আইনবিদ আবদুর রেজাক খান মামলার অভিযোগে যুক্তি উপস্থাপন শুরু যুক্তিবাদে তিনি বলেন, এটি একটি অযথা অযৌক্তিক দুর্নীতি মামলা। তিনি অটিম অর্থ চুরি করেছেন এমন তথ্য নেই। সব ডকুমেন্টের মধ্যে ঘাসামাজা আছে, ওভার রাইটিং আছে। প্রসিকিউশন ডকুমেন্টস মধ্যে খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর এবং অনুমোদন নেই তার রাজনৈতিক জীবন কালিমা লেপন জন্য অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রথম দিকে তিনি বলেন, আইন প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না দেখানো যে কোন দেশ বা জাতি ইতিহাস স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা হবে। যে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি আছে আইন আছে সর্বোত্তম অনুসরণ করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনের কথা বক্তৃতায় মামলার সাক্ষী, প্রসঙ্গগত বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। প্রথমে দেখতে হবে তার বক্তব্য গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না। বিচার করা যেমন কোন বিভ্রান্তি না হয় বেগম খালেদা জিয়া তাই ন্যায়বিচার থেকে অবরুদ্ধ নয়।
আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকায় বকশীবাজারে কারা বিভাগীয় কমিশনার প্যারেড মাঠ স্থাপন ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড। মো। আকতারুজ্জামানের আদালতে আবদুর রেজ্জাক খান খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলা চূড়ান্ত পর্বে যুক্তি উপস্থাপন শুরু।
রেজ্জাক খানের যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থা আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে
রিজেক্ট প্রজেক্টের আগে রিজাক খান বলেন, তিনি ছাড়াও প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহাবুব হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার ও এ জে মোঃ আলী এ মামলা খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন।
আবদুর রেজ্জাক খানের বলেন, এই মামলার অভিযোগ সম্পর্কে আমি বলব; বেগম খালেদা জিয়া কীভাবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা জড়িত চার্জে তার কিছু না। কোন সাক্ষী না খালেদা জিয়ার ক্ষমতার ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিদেশ থেকে তার একাউন্টে টাকা এসেছে।
এবং মামলা এফআইআর সঙ্গে চার্জ কোন সম্পর্ক নেই। দুদক থেকে এফআইআর তৈরি হয়েছে পাঠানো হয়েছে। এটি একটি ডিফেক্টিভ চার্জ। চার্জ গঠন সঠিক না। এই অসঙ্গতিপূর্ণ চার্জ মামলা বিষয়বস্তুর কোন মিল নেই।
এ সময় আদালত বলেন, ডিফেক্টিভ চার্জ বলছে, এর বিরুদ্ধে আপনি হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগে যান না।
জবাবে রিজাক খান খান বলেন, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ বলছে না চার্জ সঠিকভাবে আছে। চার্জ সঠিকভাবে প্রস্তুত আছে- এটা হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগের বলার বিষয় নয়।
যুক্তিবাদী উপস্থাপনকালে রিজাক খান খান বলেন, ড। কামাল সিদ্দিকী ও জগন্নাথ পশার ঘাড়ে বন্দুক রেখে এই মামলা চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই মামলা প্রথম অনুসন্ধান কর্মকর্তা নূর আহমেদ অনুসন্ধান প্রতিবেদন পরে আর এই মামলা আছে না।
তিনি বলেন, এই মামলার অভিযোগের তালিকা খালেদা জিয়ার নাম নেই। তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট একটি প্রাইভেট ট্রাস্ট। এটা সরকারি সম্পত্তি নয়। দুদক আইনে কোনো অপরাধ নেই।
আজ বেলা ১ টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি শেষ তারপর আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যান খালেদা জিয়া এর আগে বেলা ১১ টার দিকে আদালতে হাজির হলে খালেদা জিয়া তিনি আদালতে নির্ধারিত আসন বসা যুক্তি উপস্থাপন দেখুন। যুক্তিবাদী উপস্থাপনা শেষে কোর্টের মামলা মুলতবি বলেন, আগামীকাল বিকালে ৪ টা পর্যন্ত যুক্তি উপস্থাপন করা হবে।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- প্রবীণ আইনবিদ জমির উদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মেহেদ আলী, আবদুর রেজাক খান, শহা খসরুজ্জামান, মাহবুব উদিন খকুন, সানাউল্লাহ মিয়া, বদরুদ্দোজা বাদল, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, রাগীব রউফ চৌধুরী প্রমুখ।
বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, রুহুল কবর রিজভী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আমানুলহ আমান, সৈয়দ মোয়াজেম হোসেন আলাল, আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।
আগে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাশল খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছেন।
গত ৫ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমাপ্তি সমর্থন করেন। আত্মপক্ষ সমর্থন