জাতীয় ঐক্য থেকে যারা সরে যাবে তারা ‘আস্তাকুঁড়ে’ নিক্ষিপ্ত হবেঃনজরুল ইসলাম খান।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ>>>>>>>
জাতীয় ঐক্য থেকে যারা সরে যাবে তারা ‘আস্তাকুঁড়ে’ নিক্ষিপ্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘‘আজকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে। আমরা আছি সেখানে। এই ঐক্য আরো জোরদার হবে, আরো সম্প্রসারিত হবে এবং সে কারণে সরকার ফ্রন্টের নেতাদের সম্পর্কে নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
ওই প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, “দুই-একটা দল যদি সেখান থেকে ছিটকে পড়ে, তাতেও যেন জনগণ বিভ্রান্ত না হয়। বরং যারা ছিটকে পড়ে তারাই আস্তাকুঁড়ে চলে যায়।”
একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি কামাল হোসেনের সঙ্গে জোট বাঁধার পর তাদের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ ও এনডিপি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স কক্ষে সম্মিলিত ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের সাজা বাতিলের দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমীন, কৃষক দলের জাহাঙ্গীর আলম, যুব দলের কাদের সিদ্দিকী আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনকে’ শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তারা বৃহত্তর ঐক্য গড়েছেন।
“যারা দেশে যথার্থ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চান, যারা জনগণের শাসন কায়েম করতে চান, যারাই দুর্নীতি-অনাচার থেকে দেশকে রক্ষা করতে চান, যারা দেশের স্বাধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে চান, যারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চান, তারা সবাই একটা সময়ে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হবে, এটাই স্বাভাবিক।”
নজরুল বলেন, ড. কামাল হোসেনকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করেছিলেন আওয়ামী লীগ। অথচ তারা এখন খারাপ হয়ে গেছে। মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুর রব সবাই তাদের লোক ছিল। কিন্তু তারা এখন আওয়ামী লীগের কাছে খারাপ হয়ে গেছে। কারণ আওয়ামী লীগের খারাপ কাজগুলো পছন্দ করেন না বলে তারা সবাই বের হয়ে গেছেন আওয়ামী লীগ থেকে।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটা সময় অতিক্রম করছি। যখন কেউ সুবিচার পাচ্ছে না। যে দেশের বিচারককে রায় দেয়ার কারণে দেশ ছাড়তে হয়, সে দেশে কেউ বিচার পাবে তা বলা যায় না। ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কী রায় হতে পারে, তা আগেই অনুমান করা যায়। এর জন্য খুব বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই।