খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সংলাপের আমন্ত্রণ একে অপরের সঙ্গে সাংঘর্ষিকঃ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
স্টাফ রির্পোটারঃ>>>>>>>
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সংলাপের আমন্ত্রণকে একে অপরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না। এতে সরকারের সংলাপের আন্তরিকতা প্রমাণ করে না।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেয়ার প্রতিবাদ’ উপলক্ষে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক করে রেখেছে। জামিন পেলেও তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। সেই মামলার সাজা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, একদিকে সরকার সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। এ দুটি একে অপরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে সংলাপের আন্তরিকতা প্রমাণ করে না।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে সংলাপ ও নির্বাচন কখনো ফলপ্রসূ হবে না। এজন্য আমরা বলেছি, গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আসুন। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার খালেদা জিয়া, বিএনপি ও বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখতেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। খালেদা জিয়াকে ছাড়া এদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি মেনে নির্বাচন করার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় সকল দায় দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা এতোদিন যে কৌশল অবলম্বন করেছি সেটা ফলপ্রসূ হয়েছে। সরকার সংলাপে সম্মত হয়েছে। আমরা ৭ দফা নিয়ে সংলাপে আলোচনা করবো। সংলাপ, আন্দোলন ও নির্বাচন একসঙ্গে চলবে। যতদিন না দাবি আদায় হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।
মানববন্ধন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



