৭ নভেম্বরের পরে কোন সংলাপে বসা হবে না: কাদের
স্টাফ রির্পোটারঃ>>>>>>>
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন, সংলাপের জন্য ওনার দরজা সবার জন্য খোলা। কাজেই আমরা কাউকে নিরাশ করবো না। তবে ৭ তারিখের পরে সিডিউল ডিক্লেয়ার হয়ে গেলে আসলে আমাদের কর্মকাণ্ড আরও বিস্তৃত হয়ে যাবে। সে অবস্থায় সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে সম্ভব হবে না।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসায় ৭ নভেম্বর পর আর আলোচনায় বসা যাবে না বলে তিনি মনে করেন।
শনিবার জেল হত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আট তারিখ পর্যন্ত যেতে পারছি না, সাত তারিখে শেষ করব। সাত তারিখের পরে আর কোনো আলোচনা নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপে অংশ নেয়া পার্টি, সব মিলিয়ে ৮০টার মতো দল হয়ে যায়। এ পর্যন্ত আমরা ৩২টি আবেদন পেয়েছি। এর মধ্যে ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি ছাড়া ৩১টি আবেদন পেয়েছি। আমরা ৮ তারিখ পর্যন্ত যেতে পারছি না, কারণ সিডিউল ডিক্লেয়ার, নমিনেশন নানা বিষয় আছে। আমরা ৭ তারিখে শেষ করব। ৪ তারিখে ১৪ দল, ৫ তারিখে জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আমরা বৈঠক করব। এরপর ইসলামী কিছু দল আছে, সিপিবির নেতৃত্বে বাম গণতান্ত্রিক জোটও সংলাপে অংশ নেবে।
শুক্রবার বিকল্প ধারা ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর জাতীয় পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোটকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণভবনে।
ইসির একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতির মধ্যে সংলাপের আহ্বান সাড়া দিয়ে প্রথমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে গণভবনে গত বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর আরও রাজনৈতিক দলকেও সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এই সংলাপ চলবে।
এ পর্যন্ত মোট ৮৫টি মতো দল সংলাপে বসার সুযোগ চেয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, তবে সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ শিডিউল ঘোষণা এর মধ্যে হয়ে যাবে।
সংলাপে বিএনপির অসন্তুষ্টির কথা জানানো হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই তো আর সন্তুষ্ট হবে না। বিএনপি সন্তুষ্ট হবেন কি হবেন না, আমরা দলনেতার (কামাল হোসেন) কথা বিবেচনায় নিচ্ছি। তিনি কিন্তু বলেছেন, ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা সেখানেই আপাতত থাকি।



