বিএনপির নতুন চার কৌশল !!
গত ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের পর বিএনপি এখন ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করছে। সবকিছুতেই যেন দলটি এখন না কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে।
এক বছর ধরে কারাগারে থাকা দলটির প্রধান ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে রাজপথের কোনো কর্মসূচিতে নেই বিএনপির। বিএনপি অবশ্য ভোটে অংশ নেয় বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবে।
দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের একজন সদস্য জানায়, আপাতত চারটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগোনোর কথা ভাবছে বিএনপি। লক্ষ্যগুলো হলো- খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা, দল পুনর্গঠন, ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো এবং কঠোর আন্দোলন। তবে তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে খালাদা জিয়া কারাবন্দী আছেন। ফলে ছন্দ হারানো দলের হাল ধরতে তার মুক্তিই সমাধান হতে পারে।
এদিকে গতকাল দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, আইনের সাধারণ প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। কারণ বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই আইনের শাসন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় বের করতে পারবো বলে আমি আগেও বিশ্বাস করতাম না, এখনও বিশ্বাস করছি না। তাই আজকে সময় এসেছে, জাতি উপলব্ধি করেছে, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে আমরা নির্বাচন করেছি, সে নির্বাচন করা কতটা সঠিক হয়েছে আমাদের নেতারা একদিন সে জবাব দেবেন এবং ইতিহাসও সে কথা বলবে।
বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, শুধু বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনই নয়, জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যোগদান, আসন্ন উপজেলা ও ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন, ভোটের অনিয়ম নিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা, রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধির সঙ্গে সংলাপ- সবকিছুতেই বিএনপি না নীতি গ্রহণ করেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, হঠাৎ করে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেবো না। আমাদের প্রধান কাজ দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মুক্ত করা। আপাতত আগামী ৩-৪ মাস দলীয় কার্যয়ক্রম চলবে। এরপর সরকারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন শুরু করবো।


