সুলতান মনসুর কি এমপি হতে পারবেন?
স্টাফ রির্পোটারঃ>>>>
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন না চাইলেও শপথ নিতে অনড় রয়েছেন গণফোরাম থেকে ধানের শীষে নির্বাচিত সুলতান মনসুর।
নিয়মানুযায়ী সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচিত কেউ শপথ না নিলে তার আসন শূন্য হয়ে যাবে। যে সময়সীমা আছে বিধি অনুযায়ী সে সময়ের মধ্যেই তিনি শপথ নিবেন বলে জানিয়েছেন সুলতান মনসুর।
সুলতান মনসুর ছাড়াও বিএনপি ও গণফোরামের আরো সাতজন ৩০ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে ড:কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত হলেও তারা কেউ তাদের জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখনো শপথ নেননি।
গণফোরাম জানিয়েছে, জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের নির্বাচিত দু’জনের কেউই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিবেন না।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, সুলতান মনসুর যদি দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেন তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, সুলতান মনসুর দু দিক থেকে সমস্যায় পড়বেন। প্রথমত তিনি গণফোরামের সদস্য ও দ্বিতীয়ত বিএনপির প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। এখন দল বা জোটের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং এর ভিত্তিতে সংসদ সদস্য থাকারও আইনগত ভিত্তি থাকবেনা তার।
আইন বিশেষজ্ঞ তানজিব উল আলম বলেছেন, সপ্তম সংসদে বিএনপি বিরোধী দলে থাকাকালে সংসদ বয়কট প্রশ্নে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মেজর (অব) আখতারুজ্জামান সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়ার পর বিএনপি তাকে বহিষ্কার করে। সেটি নির্বাচন কমিশন ও সংসদের স্পিকারকে জানানো হয়েছিলো। পরে আদালত বলেছিলো দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ায় তার সদস্যপদ থাকবেনা। এরপর সংসদের সদস্যপদ হারিয়েছিলেন আখতারুজ্জামান।
এদিকে সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, দল বা জোটের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর শপথ নিলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ গণফোরাম বা বিএনপির নেই। তার শপথের সাথে দলের সম্পর্ক নেই। শপথ নিলে দল বহিষ্কার করতে পারবে। আর কিছুই হবেনা।
শফিক আহমেদ বলেছেন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ কার্যকর হবেনা। ওই অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্য হওয়ার পর কেউ দল থেকে পদত্যাগ করলে বা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দিলে সদস্যপদ হারানোর কথা বলা হয়েছে।



