খালেদা জিয়ার মুক্তি যৌক্তিক-ন্যায়সংগত দাবিঃ ড. কামাল

MD Aminul IslamMD Aminul Islam
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১০:৪৫ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবি। নির্বাচন নিয়ে গণশুনানি হলেও এখান থেকে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি যাওয়া উচিত।

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণশুনানি শেষে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা বলেন ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে স্বাধীনতার ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে বলা যায়, আমরা দেশকে পুনরুদ্ধার করেছি।’

তবে গণশুনানির শুরুতে কামাল হোসেন বলেন,আমরা ঠিক বিচারক নই, বিচার হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে। আমাদের বিচার করার ক্ষমতা নেই, দায়িত্বও না। রাষ্ট্রের মালিক হিসেবে জনগণের কাছে সঠিক চিত্র তুলে ধরতেই এ শুনানি। আর এটা ঠিকভাবে পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞদের প্যানেল।

দিনব্যাপী গণশুনানিতে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেওয়া ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।

প্রার্থীরা বলেন, সাত দফা দাবি না মানার পরও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। তফসিলের পর দেশজুড়ে মামলা, গ্রেপ্তার, হামলা অব্যাহত থাকলেও কঠোর কোনো প্রতিবাদ করেননি কেন্দ্রীয় নেতারা। নির্বাচন কমিশনকে চাপে ফেলতে দেওয়া হয়নি কোনো কর্মসূচি। এমনকি ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করা হলেও আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে না। এক বছর ধরে দলের সভানেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে থাকলেও তাঁর মুক্তির দাবিতে কিছু করছে না ঐক্যফ্রন্ট। তাই আর দেরি না করে দ্রুত মাঠের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানান তাঁরা।

চট্টগ্রাম-৯ আসনের শাহাদাত হোসেন বলেন, এত হামলা-মামলার পরও ইসিতে তেমন কোনো প্রতিবাদ করা হলো না কেন! তিনি নিজেও ভোটের আগে গ্রেপ্তার হয়ে গত ৩০ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান।

অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শোকপ্রস্তাব

চকবাজারের আগুনে নিহত লোকজনের জন্য শোক প্রস্তাব করেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। এরপর নিহত লোকজনের উদ্দেশে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায় যা ইচ্ছা তা-ই করছে সরকার। তাকে কোনো কিছুর জন্য জবাবদিহি করতে হয় না।’

গণশুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান প্রমুখ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোটের মধ্যে লেবার পার্টির এক প্রার্থী বক্তব্য দিলেও বাকি শরিকদের কাউকে দেখা যায়নি।

আপনার মতামত লিখুন :