নতুন নামে আসছে জামায়াত,কাজ করেছে পাঁচ সদস্য !
অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আলাদা নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে পাঁচ সদস্যের কমিটি।
তবে একাত্তরের ভূমিকার মীমাংসা ছাড়া নাম বদল করে কোনো লাভ হবে না বলে মনে করে জামায়াতেরই একটা অংশ।
একাত্তরের গণহত্যা ও স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা নিয়ে এবার দলের মধ্যেই চাপে পড়েছে জামায়াতে ইসলামী। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম-নিজামী-মুজাহিদদের মত পূর্বসূরীদের দায় নিতে নারাজ সংস্কারপন্থীরা। অন্যদিকে, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার জন্য অনুতপ্ত নন তাদের নেতৃত্বেই চলছে জামায়াত।
সংস্কারপন্থীরা অনেকদিন ধরেই একাত্তরের ভূমিকার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে জামায়াত বিলুপ্ত করে নতুন দল করার কথা বলে আসছে। কিন্তু তা আমলে নেয়নি পুরনো ধারার নেতারা।
তবে সম্প্রতি আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগের পর নতুন নামে সংগঠন গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি। তবে এই কমিটির সবাই সংস্কারবিরোধী বলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে করেন অনেকে।
সদ্য বহিষ্কৃত জামায়াত-নেতা মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জামায়াতের লোকজনের মধ্যে আপনি যদি একটা পুল চালু করেন বা সামাজিক যোগাগোগ মাধ্যমেও যদি আপনি একটি পুল চালু করেন যে, জামায়তের লোকের এখানে মতামত দেন, ৭১ সালে জামায়াত ঠিক করেছিল না ভুল করেছিল? আপনি দেখবেন বিভক্ত মন্তব্য পাবেন।
নতুন নামে দল গঠনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আপনি যদি সমস্যার সমাধান না করে নতুন একটি রাজনৈতিক দল খুলে চলে যান তবে কি হবে? যেটাই হবে সেটাকে আবার তারা বলবে জামায়াত।
জামায়াতকে যদি সাসটেইন করতে হয় তবে তাদের নেতা, কর্মী, সমর্থক তাদের বৃহত্তর যে মতামত সেটাকে গ্রহণ করতে হবে। এবং জামায়াত এখন যে প্র্রশ্ন গুলোর সম্মুখীন, সে প্রশ্ন গুলোর সমাধান তাদের করতে হবে।
নতুন নামে দল করতে রাজি হলেও একাত্তরের ভূমিকার জন্য বর্তমান নেতৃত্ব এখনও ক্ষমা চাইতে করতে রাজি নয় বলে জানান জামায়াতের সংস্কারপন্থীরা।



