দেশের মানুষ অন্যায় অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে চায়:খালেদা জিয়া

জিএস নিউজ ডেস্কজিএস নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৯:০১ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার:>>>

দেশের মানুষ অন্যায় অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে চায়। দেশের মানুষকে রক্ষা করতেই হবে। সামনে বড় দিন। এ দিন উপলক্ষে আপনাদেরকে প্রার্থনা করতে হবে। ২০১৮ সালে যেন দেশের মানুষ এ অত্যাচার থেকে মুক্তি পায়।শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বড় দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন’।

খালেদা জিয়া বলেন, শান্তির জন্য সংগ্রাম করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বড় দিন ও নববর্ষ উপলক্ষে একটাই প্রত্যাশা করি।

সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে। সকল ধর্মের মানুষকে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সকল দলের অংশ গ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারিতে কোন নির্বাচন হয়নি। ১৫৪ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। বাকীরাও জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয় নাই। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে কুকুর ঘোরা ফিরা করছে। এটা কে কি নির্বাচন বলে?

খালেদা জিয়া বলেন, গাইবান্ধায় তারা (ক্ষমতাসীনরা) হিন্দু সম্প্রদায় লোকদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়েছে। এ রকম বহু ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা (আওয়ামী লীগ)। আর মামলা দিয়েছে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সরকারের অন্যায় অত্যাচার থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সরকার অন্যায় অত্যাচার করে বিএনপিকে দুর্বল করতে চায়। আমি যেদিন আদালতে যাই; আমার সাথে ছেলে- মেয়েরা থাকে তাদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হামলা করে, গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তারপরে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নেয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিত ভাবে যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। যুব সমাজকে আওয়ামী লীগের লোকেরা মাদক দেয়। এদেরকে গ্রেফতারও করে না আর বিচারও হয় না।

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশ আমাদের সকলের। আপনারা খ্রিস্টান হতে পারেন। সকলে মিলে দেশটাকে গড়বো। সকলে মিলে কাজ করলে অনেক সুন্দর করতে পারবো। বড়দিন ও নববর্ষে আমরা প্রত্যাশা করবো আগামী বছরে গণতন্ত্র ফিরবে; শান্তি ফিরে আসবে।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বেগম জিয়া খিস্ট্রান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে নিয়ে বড় দিনের কেক কাটেন। সংগঠনের সভাপতি এলবার্ট পি কস্টার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, খিস্ট্রান সম্প্রদায়ের নেতা সুব্রত রোজারিও, অধ্যাপক মার্শেল এন ফিরান, সঞ্জিব হাওলাদার, বিএনপির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জন গমেজ প্রমুখ।

 

আপনার মতামত লিখুন :