সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণকে অধিকারহীন রাখা যাবে না : মঈন খান

স্টাফ রিপোর্টার:>>>
সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণকে অধিকারহীন করে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, মানুষের যে গণতান্ত্রিক অধিকার সেটা হচ্ছে একটি মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার। এটিই মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার সাংবিধানিক অধিকারের অনেক উপরে। সাংবিধানিক অধিকার দিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকারের বিপরীতে কোনো কিছু করা যাবে না। আমি স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, সংবিধানের ধারাবাহিকতায়, সংবিধানিক রক্ষার অজুহাতে অথবা সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগনকে বঞ্চিত করা যাবে না, জনগণকে অধিকারবিহীন করা যাবে না, জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করা যাবে না।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের উদ্যোগে ‘সংকট উত্তরণের গ্রহনযোগ্য নির্বাচন : নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মঈন খান একথা বলেন।
মঈন বলেন, বাংলাদেশে কী সাধারণ নির্বাচন সংবিধানের বাইরে হয়নি? একাত্তরে কী পাকিস্থানের সংবিধান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো? তাহলে কিসের সংবিধানিক অধিকারের কথা আজকের আওয়ামী লীগ সরকার করছে। এই অজুহাত অর্থহীন, এটা একটা ধোঁকাবাজী, মানুষকে পরাধীন করে রাখার কৌশল। সেই বৃত্ত থেকে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষকে বেরিয়ে আসতে হবে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। দেশের রাজনীতিতে আজ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামে-বন্দরে মানুষের সাথে কথা বললে দেখবেন তারা বলছেন- আমরা কোথায় যাচ্ছি? মিথ্যার ফুলঝুড়ি দিয়ে জনগণকে আর বোকা বানিয়ে যাবে না। আমাদেরকে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা যদি আমরা প্রতিষ্ঠা করতে না পারি তাহলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ অর্থহীন হয়ে যাবে। ইনশা আল্লাহ আগামীতে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ কল্যাণকর জীবন ব্যবস্থা আমরা ফিরিয়ে দেবো। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ নির্বাচন হতে হবে।
মঈন খান বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও ২০ দল অংশ না নিয়ে কোনো ভুল করেনি। আর তারা নির্বাচনে না যাওয়ায় আওয়ামী লীগের মাথায় কলঙ্কের তিলক লেগেছে। এই তিলক মুছতে হলে বিএনপিকে প্রয়োজন।
আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে দেয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে নির্বাচন হলে জনগণ সঠিকভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। এমন একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে যারা সম্পূর্ণ নির্লোভভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে। এমনকি নির্বাচনের ফলাফলের উপর তাদের কোনো স্বার্থ থাকবে না। এটাই হওয়া উচিত আগামী নির্বাচনের রূপরেখা।
দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বানও জানান মঈন খান।
ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি ও এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।