৯ নেতা চালাবেন বিএনপি: তারেক

জিএস নিউজজিএস নিউজ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:৩৫ এএম, ৩০ জুন ২০১৮

অনলাইন ডেস্ক:>>>

খালেদা জিয়া কারাগারে থাকাকালে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত বিএনপি দলটির স্থায়ী সক্রিয় ৯ জন নেতা থাকবেন নীতিনির্ধারণী ভূমিকা এবং পরামর্শে লন্ডনে অবস্থানকারী দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, দলটির স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে কথা বললে জানা যাবে।

দলীয় সূত্র দাবি, কার্যনির্বাহী নির্ধারণে বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার দুপুরে তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন বি এন পি প্রফেসর আমজাদ আলমগীর। জানতে চাইলে কালের কণ্ঠে বলে, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই দল চলবে। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শের সঙ্গে সঙ্গে স্থায়ী কমিটি আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলে তিনি বলেন,

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি কীভাবে চলবে সেটি গঠনতান্ত্রে উল্লেখ আছে। চেয়ারপারসন না হলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আছে স্থায়ী কমিটি রয়েছে এর আগেও বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। স্থায়ী কমিটি দল চালানো এ ছাড়া চেয়ারপারসন কারাগারে, এটি সাময়িক। তাড়াতাড়ি তিনি আসবেন এবং শীঘ্রই আসবেন। আবার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে তাঁর পরামর্শ নেওয়ার জন্য সুযোগও রয়েছে। সুতরাং বিএনপি কীভাবে চলবে-এ প্রশ্নটি কেন করা হচ্ছে, পাল্টা প্রশ্ন তোলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সবচেয়ে প্রবীণ এই নেতা

দলীয় স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশনা ও স্থায়ী কমিটির যৌথ নেতৃত্বে পরিচালিত বিএনপি।

প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বিএনপি স্থায়ী কমিটি এখন সক্রিয় রয়েছে মাত্র 9 জন নেতা। তারা হলেন- ড। খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বরিশাল মওদুদ আহমদ লে। জে। (অব।) মাহবুবুর রহমান, মিরপুর ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বরিশাল জমিরউদ্দিন সরকার, ড। আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাদের বাইরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সম্প্রতি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে আর এম তরিকুল ইসলাম ও বরিশাল রফিকুল ইসলাম মিয়া বেশ অসুস্থ হওয়ায় ইদানীং দলীয় কর্মসূচী উপস্থিত হতে পারে না।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সজা হলে মামলাটি তাকে কারাগারে পাঠানো হবে। এ অবস্থাটি কীভাবে চলবে, তা জানতে বিভিন্ন মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়।

তবে বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দল পরিচালনার দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়া বিধান নেই। এক-এগারো-পরবর্তী সময়ে খালেদা জিয়া এক বছরের জন্য জেলখানায় থাকলেও দল পরিচালনার জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এছাড়াও লন্ডনে থাকার সময়

বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলটির সর্বমোট ক্ষমতার অধিকারী চেম্বার্সন। আর গঠনতন্ত্রের ৮-এর (সি) ধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যানের অপ্রত্যাশিত্যে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা হয় সব দায়িত্ব বর্তায়। গ-এর (২) উপ-উপাচার্যকে বলা হয়- ‘চিয়ারম্যানের সাময়িক অব্যাহতিতে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।’ এই বিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়া জেলখানায় যাওয়ার পর তারেক রহমানের মধ্যে এখন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

সংবিধানের ৮ (খ) ৫ ধারা অনুযায়ী দলীয় চেয়ারম্যান ‘জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভানেনে সভাপতি করা’ বলে উল্লেখ আছে। তবে এই ক্ষমতা তিনি প্রয়োজন বোধে অন্য কাউকে দিতে হবে একই ধারনা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে।

দুর্নীতি মামলা দণ্ডে দোষী হলে বিএনপি নেতৃত্ব বা পদে অযোগ্যতা হিসাবে যে ধারা এত দিন বিএনপির গঠনতন্ত্র ছিল, সম্প্রতি এটি দেওয়া হয়েছে দেওয়া হয়েছে। গত ২8 জানুয়ারি বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সংবিধান সংশোধন করে সংশোধনী জমা দিয়েছিল। এর ফলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সজাগ হলেও নেতৃত্ব বা পদের ‘অযোগ্য’ কোন বিষয় এবং থাকল না। অর্থাৎ দলটির দুটি শীর্ষ পদে তাঁরাই বিরাল থাকলো।

সংকলন 7 নম্বর ধারার ‘ঘ’ -এ বলা আছে:

সমাজে দুর্নীতিবাজ বা অসামাজিক ব্যক্তিদের পরিচিত কেউ বিএনপি কোন পর্যায়ের কমিটি সদস্য বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী পদে অযোগ্য বলে গণ্য করা হবে।

সূত্র, মতে, সরকার এই ধারা ব্যবহার করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বিএনপি পদ বা নেতৃত্বে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারে-এই ধারায় শেষ জাতীয় কাউন্সিল বাদ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আপনার মতামত লিখুন :