সংকট কাটিয়ে একসঙ্গে ইজতেমা হচ্ছে

জিএস নিউজ ডেস্কজিএস নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:০২ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সালের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভক্ত মুসল্লিদের উভয় পক্ষের সন্তোষজনক সম্মতির ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সামনে এটি ছিল পাহাড়তুল্য চ্যালেঞ্জ। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর উপস্থিতিতে বিবদমান দুই পক্ষের প্রতিনিধির বৈঠকে ইজতেমার এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার এক পর্বেই বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। কয়েক বছর ধরে দেশের ৬৪ জেলাকে দুই পর্বে ভাগ করে ইজতেমার আয়োজন হয়ে আসছিল। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পর ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা গেছে। এবার এক পর্বেই টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা হবে।’ এক পর্বে ইজতেমা করা হলে ভিড় সামাল দিতে সমস্যা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব কিছু সামাল দেবে। অতীতেও তারা সামাল দিয়েছে। আশা করি, কোনো সমস্যা হবে না।’

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ মেটানোর লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর উপস্থিতিতে টানা প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠকের পর একসঙ্গে ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর দুই পক্ষ একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে। ওই বৈঠক থেকেই ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসে ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ বৈঠকে তাবলিগ জামাতের মাওলানা জুবায়েরুল হাসান, মাওলানা ওমর ফারুক, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও খান শাহাবুদ্দিন নাসিম এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব সৃষ্টির পর পরিস্থিতি মোকাবেলায় ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর এক পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্রে বলা হয়, দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, ধর্মীয় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখা তথা সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে পাঁচ দফা নির্দেশনা জারি করা হলো।

পরবর্তী সময়ে একই মন্ত্রণালয় আগের পরিপত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করে একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি পরিপত্র জারি করে। এ অবস্থায় দুই পক্ষে বিরোধ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এর জের ধরে গত বছরের ১ ডিসেম্বর সংঘর্ষে একজন নিহত ও অসংখ্য মুসল্লি আহত হন। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ অবস্থায় ২৪ সেপ্টেম্বরের পরিপত্র বাতিল এবং ইজতেমা আয়োজনে সরকারের সহযোগিতার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। যদিও আদালত থেকে এখনো কোনো আদেশ হয়নি। এর মধ্যেই মাননীয় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ পরিকল্পনায় সরকারের উদ্যোগ সফল হলো।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের উন্মুক্ত সুযোগ

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ সর্বসাধারণের উন্মুক্ত যোগাযোগের জন্য সম্প্রতি নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বই-পত্র স্ক্রিন কপি প্রস্তুত করার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন করার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানার জন্য এবং যেকোনো সেবা ও পরামর্শের জন্য ফেসবুক, টুইটার, ই-মেইল ও ফোন নম্বর উন্মুক্ত করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :