আমরা শ্রমিক ভাত চাই

মাটির দেহ আছে পড়ে ,
ভাতের জন্য কান্না করে !
আমার পেট খানি ।
দিনের আলোতে করি কাজ ,
রাতের অন্ধকার আমায়
আপন করিতে পারে না ।
বাবু সাহেবের ইচ্ছে ,
আমি হলাম গোলাম ।
পায়ের নিচের ময়লা ,
দেহ আমার শেষ করিলো !
মালিক সাহেব বাবু ।
সূর্য আসে আমার ঘরে ,
দেহ আমার জ্বালা করে
এমন আলো দেখে ।
মাটির দেহ পারছে না আর ,
এমন ব্যথা নিতে ।
কষ্ট দাও আরো দাও ,
আমি শ্রমিক ! আমি শ্রমিক !
আমার টাকা আমায় দিবে ।
এত মায়া কেন আসে ,
টাকার দেহ দেখে ।
হা হা হা সাহেব বাবু ,
আমার টাকায় ভালো আছেন ।
এই বিশাল পৃথিবীর রাজ্যে ,
লজ্জা হয় আপনার সাহেব গিরি দেখে ।
শ্রমিকের শ্রম দেশের শক্তি ,
আমরা শ্রমের রাজ্য দিবো
তোমরা আমাদের প্রাপ্য মজুরি দাও
বুকে হাত রেখে বলছি
দেহের শক্তি মনের বিশ্বাস ।
ভালোবাসার হাত দিয়ে ,
সাহেবের রাজ্য করে তুলবো
বিজয়ের রং দিয়ে ।
জ্বালা করছে সারা শরীর ,
আমি গরিব নাকি ওরা গরিব ।
রাতের আঁধারে এত জ্বালা ,
দিনের আলোতে ছলনার খেলা ।
আমায় ভাত দিবে ভাত ,
আমি শ্রমিকের কন্যা ।
আয়েশা বেগম পেটে বড় জ্বালা ,
বাবা আমায় কথা দিছিলো ।
ভাতের থালা নিয়ে আসবে ,
বেলা শেষের আগে ।
আয়েশা তোর বাবা এসেছে !
সাদা কাপড়ে হাজার মানুষের ভিড়ে ,
বাবা আমার তাকাবে এবার ,
আয়েশা বেগমের ডাকে ।
ভাত চাই না – বাবা চাই ,
পেটে আমি বালু দিবো ।
বাবা আমার ফিরে এসো ,
কারখানায় তুমি গেলা কেন !
আয়েশার ভাতের টাকার জন্য ।
ও সাহেব বাবুরা ,
আর কতো শ্রমিকের
জীবনের দাম দিলে ,
সঠিক মজুরি পাবে ।
বাঁচার জন্য শ্রম দেই ,
মাটির দেহ কষ্ট পায় ।
কাজের কঠিন সময় দেখে ,
শ্রমিক আমি চিন্তা করি ।
কাজ আমার বিশ্বাস ,
শ্রম আমার দেশ ।
আমরা শ্রমিক ভাত চাই ,
কাজের বিনিময়ে ।
হোটেল সাজে সাহেবের মনের রঙে !
আমি শ্রমিক মন সাজাই ,
আমার দেহের শ্রমে ।
লেখক: বিতার্কিক-শিক্ষার্থী,সাংবাদিকতা বিভাগ,পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,খুলশী,চট্টগ্রাম।