কেন হয় ব্লাড ক্যানসার ? জেনে নিন

GS News 24GS News 24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:৪৯ পিএম, ২০ জুন ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টারঃ>>>

ব্লাড ক্যানসার ও তার চিকিৎসা নিয়ে অনেকের অনেক রকম জিজ্ঞাসা রয়েছে। অনেক ভুল ধারণা, মিথ্যা, গুজবও থাকে এর ভিতরে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ের অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারও জানতে চান এই রোগটি নিয়ে। এই লেখাটি ব্লাড ক্যানসার নিয়ে। সকল শ্রেণির মানুষের জন্য।

 

 

ব্লাড ক্যানসার কী? মূলত লিউকেমিয়াকেই আমরা সাধারণভাবে ব্লাড ক্যানসার বলে থাকি। ব্লাড ক্যানসার হলো রক্ত কোষের ক্যানসার। বিশেষ করে শ্বেত রক্তকণিকার। রক্ত কোষ তৈরি হয় বোন ম্যারো বা অস্থিমজ্জায়। তৈরির পর কয়েকটি ধাপে কোষগুলো ম্যাচিউর হয়ে তারপর রক্ত প্রবাহে আসে।কোন কারণে এই কোষগুলো অতিমাত্রায় উৎপাদিত হলে এবং ঠিকভাবে ম্যাচিউর না হলে দেখা যায় রক্তপ্রবাহে প্রচুর অপরিপক্ব রক্ত কোষ এসে ঘুর ঘুর করছে। এরা শরীরের কোনো কাজে তো আসেই না উল্টো নানারকম উপসর্গ তৈরি করে। শ্বেত রক্তকণিকাগুলোই বেশি আক্রান্ত হয়।

 

ব্লাড ক্যানসার কেন হয়?

কারণ নির্দিষ্ট করে বলা অনেক কঠিন। তবে দীর্ঘদিন দীর্ঘসময় ধরে উচ্চমাত্রার রেডিয়েশন খেলে ব্লাড ক্যানসার হতে পারে।

কেমিকেল বর্জ্য, রঙের কারখানা, ধূমপান, কীটনাশক ইত্যাদি কারণ হিসেবে কাজ করে। বিশেষ এক ধরনের ভাইরাসের কারণেও হতে পারে।

এসবের প্রভাবে শরীরের কোষাভ্যন্তরে যে জিন থাকে সেগুলোর মিউটেশন হয়, ক্রোমজমের বাহুগুলিতে কিছু ওলট-পালট হয়। তখন কোষ বিভাজনে কিছু উলটাপাল্টা সিগন্যাল যায়। ফলশ্রুতিতে রক্ত কোষ ব্যাপক হারে উৎপাদিত হয় এবং সেগুলো পরিণত না হয়েই রক্তপ্রবাহে চলে আসে।

 

ব্লাড ক্যানসার ছোঁয়াচে?

একদমই না। এটা রক্তবাহিত, যৌনবাহিত, পানিবাহিত এমন কিছুই না। রোগীর সঙ্গে থাকলে, তাকে স্পর্শ করলে, খাবার খেলে, তার রক্ত গায়ে লাগলে, তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলে এই রোগ ছড়াবে না। আমাদের অনেকের মধ্যে এমন ভুল ধারনা বিদ্যমান

 

লক্ষণ কী? কীভাবে বুঝব?

জ্বর, রক্তশূন্যতা, ত্বকে র‌্যাশ, হাড়ে ব্যথা, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত যাওয়া এসব লক্ষণগুলো একসঙ্গে দেখা দিলে সাবধান হয়ে যাবেন। সন্দেহ করতে পারেন যে আপনার ব্লাড ক্যানসার হয়েছে।

কনফার্ম করব কী করে: রক্তের ফিল্ম বা PBF পরীক্ষা করলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগ বোঝা যায়। তবে নিশ্চিত হতে হলে বোনম্যারো পরীক্ষা করতে হবে। ফ্লো সাইটোমেট্রি বা ইমিউনোফেনোটাইপ সরকারি হাসপাতালে করা যায়। এগুলো হলো নিশ্চিতকরণ পরীক্ষা।

সাইটোজেনেটিক্স করা হয় রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের জন্য। ট্রিটমেন্টের ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। রোগীর ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু, কী চিকিৎসা তার জন্য ভালো হবে এসব।

আপনার মতামত লিখুন :